উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া সেই ভয়াবহ দিনগুলি কিছুতেই ভুলতে পারেন না শ্রমিকদের একাংশ। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তাঁরা। কোচবিহারের বলরামপুর থেকেও উত্তরকাশীতে কাজ করতে গিয়েছিলেন মানিক তালুকদার। গত ১২ নভেম্বর তিনিও আটকে পড়েছিলেন উত্তরকাশীর সুরঙ্গে। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা। ১৭ দিন পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছিল অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বন্ধ সুরঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়েও জীবনে যে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন না মানিক। প্রথম ও শেষ প্রশ্ন এই রাজ্যে কাজ কোথায়? অগত্যা সেই পুরনো কাজেই ফিরে যেতে চান মানিক তালুকদার। পেট তো চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে আবার ভিনরাজ্যে ফিরে যেতে চান মানিক। যেখানে কাজ আছে। যেখানে থেকে দুপয়সা আয় করে টাকা পাঠানো যায় বাড়িতে। মানিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি তো বরাবরই বলেছি। আমার এখানে কাজের ব্যবস্থা করে দিলে আর ঝুঁকির কাজে যোগ দেব না। প্রথম দিকে সবাই আশ্বাস দিয়েছিলেন, পরে আর কেউ খোঁজ রাখেনি।কেউ খোঁজ রাখে না, মানিকরা কেমন আছেন?প্রথম দিকে গলায় মালা জুটে যায়। সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। শুকনো আশ্বাসও মেলে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। আর সব যখন থেমে যায়, তখন মানিকের কথা ভুলে যান অনেকেই। এটাই রীতি। আর বাস্তবের সেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানিক তালুকদাররা।তবে পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম অবশ্য় কাজের আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় জানিয়েছেন, তিনি প্রাথমিকভাবে মানিক তালুকদারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কোন কাজে পারদর্শী তার একটা তথ্য় তিনি সামিরুলের কাছেও পাঠিয়েছেন। তবে মানিক তালুকদার অবশ্য় জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে নির্দিষ্ট ভাবে কেউ কাজের কথা বলেননি। সত্যিই যদি রাজ্যে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন ভাবব। আপাতত পুরনো কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানিক। উত্তরাখণ্ডে ওই সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। পুরনো কাজেই ফিরে যেতে চান।