বেশ কয়েকটি জায়গায় সম্প্রতি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এগরা দিয়ে তা শুরু হলেও বজবজ, দুবরাজপুর, ইংরেজবাজার এবং ভাঙড়েও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ায় সরিফুল মোল্লার বাড়িতে বিস্ফোরণে দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে বলে খবর। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কারণ এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে এজেন্সিকে চিঠি লিখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। চালতাবেড়িয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সরিফুল মোল্লার বাড়িতে এই বিস্ফোরণ হয়। তবে এটা সিলিন্ডার ফেটে হয়েছে বলে দাবি করা হলে সত্য ঘটনা জানতেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন নওশাদ।
এদিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর ভাঙড়ে আজ বুধবারও থমথমে এলাকা দেখা গিয়েছে। কী থেকে বিস্ফোরণ হল? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আইএসএফ–এর পক্ষ থেকে অভিযোগ, বোমা ফেটেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কোথা থেকে আসছে এত বোমা? উঠেছে প্রশ্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বোমা মজুত হচ্ছে কী ভাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা জোগাড় করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়াও। তারপরই বিস্ফোরণ নিয়ে এনআইএ’র তদন্ত দাবি করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এগরার বোমা বিস্ফোরণ নিয়েও এনআইএ তদন্ত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট তাতে মান্যতা দেয়নি। ফলে সেটার তদন্ত সিআইডি করছে। কিন্তু তারপরও বোমা বিস্ফোরণ থামছে না। একের পর এক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে। যাতে শিউরে উঠছেন মানুষজন। বজবজ, দুবরাজপুর, ইংরেজবাজার এবং ভাঙড়ে ঘটেছে বিস্ফোরণ। ভাঙড় কাণ্ড নিয়ে এখন মাঠে নেমে পড়েছে আইএসএফ। কাশীপুর থানার চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। আর এটাকে বোমা বিস্ফোরণ হিসাবে চালাচ্ছে আইএসএফ। যদিও এখনও তেমন কোনও প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি তাঁরা।