বাজি তৈরি করে তা মজুত করা হচ্ছিল একটি ঘরে। আর সেখানেই হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। আর এই বিস্ফোরণের জেরেই মৃত্যু হল একজনের। ওই কিশোরের বয়স ১৪ বছর। তবে আগুনে ঝলসে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দু’জনকে। আজ, রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার থানার বারদ্রোণ নস্করপাড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। তার জেরে এলাকায় তুমুল আলোড়ন দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কিশোরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, এক ভিলেজ পুলিশের বাড়িতে তৈরি করা হতো বাজি। সেই বাজির মজুত করে রাখা হতো। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি পথে বাজি তৈরি করা হতো। আর তাতে শিশু শ্রমিকদের কাজে লাগানো হতো। ওই মজুত করা বাজির মশলা থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের। তার সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে গেল কিশোরকে এই মারাত্মক ঝুঁকির কাজে লাগানো হয়েছিল। যা এককথায় অপরাধ। যদিও ডায়মন্ডহারবারের বারদ্রোণে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ভিলেজ পুলিশ এবং তাঁর এক সদস্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে মারামারি কংগ্রেস নেতার, আসানসোলে তুমুল উত্তেজনা
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বিকট শব্দে চমকে ওঠেন বারদ্রোণ নস্করপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। স্বপন হালদারের বাড়িতে মজুত রাখা ছিল প্রচুর বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা। তা অসতর্কভাবে হাত পড়ে যাওয়ায় তাতে আগুন লেগে যায়। আর তীব্র বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মানুষজন আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাড়িতে। এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং দমকল। শীতের রাতে অন্ধকারে সেখান থেকে উদ্ধারকাজ করতে ব্যাহত হয়। পরে জেনারেটরের আলো জ্বেলে আগুন নেভানো হয়। ওই বাড়ির পিছনেই মজুত ছিল বাজির মশলা।
এছাড়া এই সৌমিত্র নস্কর একজন ভিলেজ পুলিশ। সে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করে বাইরে বিক্রি করত। তাতে মোটা টাকা মুনাফা হতো। সৌমিত্র ডায়মন্ডহারবার থানার ভিলেজ পুলিশ। তবে সৌমিত্রের আত্মীয় স্বপন হালদারের বাড়ি ব্যবহার করে সে এই কাজ করত বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশাসনের নাকের ডগায় কেমন করে একজন ভিলেজ পুলিশ অবৈধভাবে বাজি তৈরি করত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কিশোর ঋজু পাইকের। একমাস আগে উলুবেড়িয়াতেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল।