
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চলেছিল গত ১১ এবং ১২ এপ্রিল। সেই সহিংসতা চলাকালীনই জাফরাবাদে খুন করা হয়েছিল হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস। কিন্তু ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছিল এই দু'জনকে? যাঁদের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি 'হিন্দু শহিদ দিবস' পালন করেছে, সিপিএম দাবি করেছে নিহতরা তাঁদের দলের সমর্থক, সেই দু'জনকে খুনের নেপথ্যে নাকি থাকতে পারে ব্যক্তিগত শত্রুতা। (আরও পড়ুন: 'মৌলবাদ নিয়ে ব্রেনওয়াশ', ধুলিয়ানে TMC সাংসদ-বিধায়কদের সামনেই বিস্ফোরক দাবি)
আরও পড়ুন: পাঠানে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই MP-MLA, শেষবার কবে মুর্শিদাবাদে পা রেখেছিলেন ইউসুফ?
ইতিমধ্যেই ধুলিয়ান জোড়া হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক জন। তাদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভিনজেলা থেকে তো কাউকে বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছ থেকে। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম হল ইনজামাম হক নামে এক ব্যক্তি। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এই ইনজামাম। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে এই ইনজামামের ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল হরগোবিন্দ এবং চন্দনের ওপরে। নিহতদের বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিন খুঁটিতে কাজ করা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। এই আবহে ধুলিয়ানে ওয়াকফ হিংসার আবহে হরগোবিন্দ ও তাঁর ছেলেকে ইনজামাম খুন করে বলে অভিযোগ উঠছে। এদিকে ইনজামাম ছাড়াও এই খুনের ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজন। এই আবহে পুলিশ তজন্ত জারি রেখেছে। (আরও পড়ুন: 'ওরা বাড়িতে ঢুকে...', রাজ্যপালকে বললেন মুর্শিদাবাদ হিংসার কবলে পড়া মহিলারা)
এই জোড়া খুন নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার বলেন, 'তদন্তে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া দুই ব্যক্তির পূর্বপরিচিত ছিল ধৃত ইনজামাম। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে এই মামলায়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেই সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।' এদিকে ওয়াকফ হিংসায় খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই ক্ষতিপূরণ তাঁরা নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন দাস পরিবারের সদস্যরা। ১৬ এপ্রিল হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। তবে শ্রাদ্ধের জন্যে পুরোহিত ও ক্ষৌরকারকে পর্যন্ত পাশে পাননি বলে অভিযোগ দাস পরিবারের। তাঁদের দাবি, আতঙ্কে কেউ আসেনি। তাই পুরোহিত ছাড়াই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয় হরগোবিন্দ এবং চন্দনের। এই আবহে হরগোবিন্দের স্ত্রী পারুল দাস জানিয়েছিলেন, তিনি মমতার ঘোষিত টাকা নেবেন না। এদিকে চন্দনের স্ত্রী পিঙ্কিও জানান, তিনি রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের টাকা নেবেন না। বরং তিনি গ্রামে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির দাবি জানান।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports