শনিবার তমলুক আদালতে পিনকন চিটফান্ড মামলার রায়। এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে কোনও চিটফান্ড দুর্নীতি মামলার রায় হতে চলেছে। রায় শোনাবেন তমলুক জেলা আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়। তার আগে মামলার শেষ শুনানিতে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে চরম ভর্ৎসনা করল আদালত। জানাল রায়ের দিন যে ভাবেই হোক গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে হবে পিনকনের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায় ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমি রায়কে। সঙ্গে আদালতে হাজির করতে হবে ১৬ জন অভিযুক্তের প্রত্যেকে। এদের মধ্যে ৩৪ জন তমলুক সংশোধনাগারে রয়েছেন। মনোরঞ্জনবাবুকে আদালতে হাজির করতে না পারলে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।পিনকন কর্ণধার মনোরঞ্জন রায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। চিকিৎসার জন্য গত মে থেকে তিনি ভর্তি রয়েছেন নিজেরই একটি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, সেখানে বসেই চিটফান্ডের কাজ পরিচালনা করছেন তিনি। বহু মানুষ সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। তমলুক আদালতের বিচারক এতে চরম অসন্তুষ্ট। কারণ, গত ৩ মাস ধরে মামলার শুনানির জন্য দিন সময় দিলেও আদালতে হাজিরা দেননি মনোরঞ্জনবাবু বা তাঁর আইনজীবী। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইচ্ছা করে মামলার রায়কে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন অভিযুক্ত।আদালত থেকে ৬ কোটি টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিয়েছিলেন মনোরঞ্জনের স্ত্রী মৌসুমি। শর্ত ছিল, আদালতে মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার সমস্ত দিন তাঁকে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু জামিন পাওয়ার পর থেকে আদালতে আর হাজিরাই দেননি মৌসুমি। বদলে অসুস্থতার কথা আদালতে জানিয়েছেন মনোরঞ্জনবাবু। জেলের সুপারের মাধ্যমে আদালতে পেশ করেছেন ২ চিকিৎসকের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট।এই পরিস্থিতিতে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, মনে হচ্ছে মনোরঞ্জনবাবু প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে প্রভাবিত করেছেন। তাঁকে কার্যত ছেড়ে রাখা হয়েছে। যেমন ভাবে হোক তাঁকে গ্রেফতার করে ৩ অক্টোবর আদালতে পেশ করতে হবে। সঙ্গে আদালতে পেশ করতে হবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদানকারী সমস্ত চিকিৎসককে। সুপার সেই কাজে ব্যর্থ হলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে।