টানা ৩৬ ঘটনা তল্লাশির পর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। আর তারপরই জোরকদমে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। দ্বিতীয় ফোনটি পেতেই গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন সিবিআই অফিসাররা। কেমন করে নিজের মোবাইল ফোন দু’টি পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন? কোনদিক দিয়ে পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়েছিলেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই পুনর্নির্মাণ করলেন তাঁরা। আর সেসবই সিবিআই অফিসারদের সামনে করে দেখালেন বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে বাড়ির ছাদে তুলে নিয়ে গিয়ে পুরো ঘটনাবলির পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই। এমনকী গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে। শুক্রবার সিবিআইকে দেখে তিনি যা ঘটিয়েছিলেন, মোবাইল ছুড়ে ফেলে থেকে শুরু করে পালানোর চেষ্টা—সবই তাঁকে আবার করে দেখাতে বলা হয়। প্রথমে তিনি তা করতে অস্বীকার করলেও চাপে পরে তিনি সবটাই করে দেখান। উদ্ধার হওয়া মোবাইল যে তাঁর সেটা নিশ্চিত করেছেন বিধায়ক। আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে চান সিবিআই অফিসাররা।
অন্যদিকে বড়ঞা এলাকাটি বীরভূমের সীমান্ত লাগোয়া। তাই এখান দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। আর এই ভৌগোলিক অবস্থার জন্য বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের মধ্যে কী কী কাজ হয়েছিল? এখন জানতে চান তদন্তকারীরা। তাই দফায় দফায় টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। তিনি ছাদ থেকে কোথায় মোবাইল দু’টি ছুড়ে ফেলেছিলেন? এই প্রশ্ন করতেই তিনি পুকুরের ঠিক জায়গায় আঙুল দেখান। আর তৎক্ষণাৎ দ্বিতীয় মোবাইলটি খোঁজার তোড়জোড় শুরু হয়।