সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর। সেজন্য আগেভাগেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তুতির মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১২ বছরের নীচে শিশুদের মায়েদের টিকাকরণ করা হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা কমতেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যজুড়ে শিশুদের জন্য ১০,০০০ বেড তৈরি রাখা হয়েছে। শিশুদের জন্য ১,৩০০ আইসিইউ বেড তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার। সিঁথিতে শিশুদের জন্য সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। যা কলকাতায় প্রথম। গঠন করা হয়েছে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। মহিলাদের জন্যও হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ২৬,০০০ বেড রয়েছে। আগে পুরুষদের জন্য ৬০ ভাগ ও মহিলাদের জন্য ৪০ ভাগ বেড সংরক্ষিত থাকত। তবে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় মহিলাদের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এবার থেকে মহিলাদের জন্য ৬০ ভাগ ও পুরুষদের জন্য ৪০ ভাগ বেড রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশুদের মায়েদের ক্ষেত্রেও প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, 'বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এবারে মহিলাদের জন্য বেড বেশি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' সঙ্গে যোগ করেন, 'ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে পরিবারের সকল সদস্যরাই আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে মায়েরাও আক্রান্ত হতে পারেন। শিশুদের সঙ্গে মায়েরাও যাতে হাসপাতালে থাকতে পারেন, আমরা সেই পরিকল্পনাই করছি। মায়েদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও তাঁরা যাতে শিশুদের সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে পারেন ও সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই ব্যবস্থাই সরকারের তরফে করা হচ্ছে।'