ফের বৈকুন্ঠপুর বনদফতরের বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বের টিমের বড় সাফল্য। এক কোটি টাকা মূল্যের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ বাজেয়াপ্ত করল বনদফতর। এই ঘটনায় তিনজন ভিনরাজ্যের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৪৭.৪৮ কেজি আঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে দুজন হরিয়ানার বাসিন্দা ও একজন পঞ্জাবের বাসিন্দা। এই ঘটনায় বাগচান ধাবি নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বনদফতর সূত্রে খবর, এর আগেও তাকে ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখনও তার কাছ থেকে ৭০ কেজি প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে এই বিপুল আঁশের সন্ধান পেল বনদফতর? সূত্রের খবর বনদফতরের আধিকারিক সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে একটি টিম দুষ্কৃতী দলের খোঁজ করছিল। তাদের ধরতে বনদফতরের তরফে ফাঁদ পাতা হয়। এরপর জলপাইমোড়ে ক্রেতা সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন বনদফতরের আধিকারিকরা। সেই ফাঁদে পা দেয় দুষ্কৃতীরা। আঁশ নিয়ে হাজির হয় তারা। দরদামও করা হয়। আঁশগুলি প্রায় ১ কোটি টাকায় বিক্রির ছক কষা হয়েছিল। বনদফতরের অনুমান অনেকগুলি প্যাঙ্গোলিন মেরে এই আঁশগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে বনদফতর জেনেছে, সম্ভবত মধ্য়প্রদেশ থেকে হরিয়ানা হয়ে আঁশগুলি বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর শিলিগুড়িতে আনা হয়েছিল প্যাঙ্গোলিনের আঁশগুলিকে। সেখান থেকে হাতবদল করে সেগুলি নেপালে পাচারের ছক ছিল। কিন্তু তার আগেই বনদফতরের পাতা ফাঁদে পা দিল দুষ্কৃতীরা। এডিএফও মঞ্জিলা তিরকি বলেন, সঞ্জয় দত্তের কাছে খবর এসেছিল। এরপর ভারতীয় প্যাঙ্গোলিনের আঁশ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।