বন্যেরা বনে সুন্দর। কিন্তু সেই বন্য হাতিই মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়ে জঙ্গল থেকে। এনিয়ে মানুষ ও বন্যজীবজন্তুর সংঘাত দেখা দেয়। তবে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়িতে যে ছবি দেখা গেল তা নিঃসন্দেহে আবেগ সঞ্চার করেছে অনেকের মনে। হালকা শীতের ভোর। চারপাশে চায়ের বাগান। বর্ষার পর নতুন করে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। এদিকে হালকা কুয়াশার মধ্যেই বাসিন্দারা দেখতে পান একটি হাতি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মহাসিংজোতের অটল চা বাগানের কাছে হাতিটিকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছিল অনেকের মনে। হয়তো ফের চা বাগানে তাণ্ডব চালাবে হাতিটি। এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু না তেমন কিছু হয়নি। চা বাগানের রাস্তার মধ্যে সন্তান প্রসব করে মা হাতিটি। তবে এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওভাবেই হাতিটিকে আর বিরক্ত করেননি। উলটে কেউ যাতে তাদের বিরক্ত না করে সেজন্য অনুরোধ করেন। বনদফতরও নিরাপদে হাতি ও সদ্যোজাত বাচ্চাটিকে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতি সাধারণত জঙ্গলের মধ্যেই বাচ্চা প্রসব করে। এটি বেশ বিরল ঘটনা। সম্ভবত অন্য জঙ্গলে যাওয়ার আগেই প্রসব হয়ে যায়। বনদফতর সূত্রে খবর, স্থানীয় টুরুরিয়াঝাড়ের জঙ্গল থেকে বাগডোগরার জঙ্গলর দিকে যাচ্ছিল মা হাতিটি। রাস্তাতেই অটল চা বাগান পড়ে। এদিকে সেই বাগানের রাস্তাতেই বাচ্চা প্রসব করে হাতিটি। এরপর দীর্ঘক্ষণ ওইখানেই ছিল মা হাতি ও তার বাচ্চা। চা শ্রমিকরা বিষয়টি জানতে পেরে বনদফতরের খবর দেন। বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, হস্তিশাবকটি সুস্থ রয়েছে। বনকর্মীরা দুটির উপরই নজর রাখছেন।