সারা বছরের ২৪ টি একাদশীর মধ্যে নির্জলা একাদশীকে সবচেয়ে বিশিষ্ট বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্জলা একাদশী হল জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী। এ বছর এই একাদশী ৩১শে মে। এই একাদশীর উপবাস করলে সকল ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই দিনে অভাবী মানুষের প্রতি দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য এই দিনে নির্জলা উপবাস পালন করা হয়। এই ব্রত বেশিরভাগ মহিলারাই পালন করেন। এছাড়াও এই দিনে গায়ত্রী জয়ন্তী পালিত হয়। আসুন জেনে নিই নির্জলা একাদশীর গুরুত্ব, শুভ সময় ও পুজো পদ্ধতি।নির্জলা একাদশীর গুরুত্বনির্জলা একাদশী সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয় যে, আপনি যদি সারা বছর একটিও একাদশী উপবাস না করেন এবং নির্জলা একাদশীর উপবাস করেন তাহলে আপনি সম্পূর্ণ একাদশীর ফল পাবেন এবং ভগবান বিষ্ণু আপনার প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হন। যারা এই উপবাস পালন করেন তাদের খাদ্য ও জল ত্যাগ করে উপবাস করতে হয়। পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে এই উপবাস করলে দীর্ঘায়ু ও মোক্ষ লাভ হয়।নির্জলা একাদশীর শুভ সময়নির্জলা একাদশী মঙ্গলবার, ৩০ মে দুপুর ১ : ০৯টায় শুরু হবে এবং ৩১ মে দুপুর ১ : ৪৭ টায় শেষ হবে। তাই উদয় তিথির নিয়ম অনুযায়ী ৩১ মে নির্জলা একাদশীর উপবাস পালিত হবে।নির্জলা একাদশীর আচারনির্জলা একাদশীর দিন ভোরবেলা সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মনে মনে ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে উপবাসের সংকল্প করুন। গঙ্গাজল ছিটিয়ে পুজোর স্থানকে পবিত্র করুন। একটি কাঠের চৌকিতে একটি পরিষ্কার হলুদ রঙের কাপড় বিছিয়ে তার উপর ভগবান বিষ্ণুর ছবি রাখুন। ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ বস্ত্র অর্পণ করুন। পুজোর পর এই পাত্রটি অভাবীকে দান করুন। ভগবান বিষ্ণুর পুজোয় হলুদ রঙের চাল, হলুদ ফুল এবং হলুদ ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। আচার অনুসারে নির্জলা একাদশীর পুজো করুন এবং তারপর মিষ্টি নিবেদন করুন এবং প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করুন।নির্জলা একাদশীতে এই জিনিসগুলি দান করুননির্জলা একাদশীতে দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে, অভাবী লোকদের বস্ত্র দান করা উচিত। বার্লি, ছাতু, পাখা, তরমুজ এবং আম দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে গরীব সাধুকে একটি পাত্র বা একটি কলস দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে এই উপবাস পালন করুন।