হিন্দু ধর্মে, গুরুশিষ্যের প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। যা আজ পর্যন্ত প্রতিটি যুগের মানুষ অনুসরণ করে আসছেন। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালন করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মহর্ষি বেদব্যাস এই পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মহর্ষি বেদব্যাসকে চারটি বেদের জ্ঞানী বলে মনে করা হয়। তিনিই প্রথম চারটি বেদের জ্ঞান মানবজাতিকে দিয়েছিলেন। এই কারণেই মহর্ষি বেদ ব্যাস প্রথম গুরু উপাধি পেয়েছিলেন। এই বছর, গুরু পূর্ণিমার উত্সব পালিত হচ্ছে আজ অর্থাৎ ৩ জুলাই (সোমবার)। আজকের শুভ সময় এবং পুজোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথির সূচনা - রবিবার, ২ জুলাই রাত ৮ টা ২১ মিনিট, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি সমাপ্তি - সোমবার, ৩ জুলাই বিকেল ৫ টা ৮ মিনিটে। উদয় তিথি অনুযায়ী, সোমবার পালিত হচ্ছে গুরু পূর্ণিমা উৎসব।
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে গুরু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান, পুজো, দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গুরু পূর্ণিমায় অনেক শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে। আজ ইন্দ্র যোগ, ব্রহ্মযোগ, এবং বুধাদিত্য রাজযোগও গঠিত হচ্ছে।
গুরু পূর্ণিমার দিন স্নান সেরে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে আপনার বাড়ির পুজোস্থলে গুরুদের মূর্তিতে মালা অর্পণ করুন এবং পুজো করুন।
এর পরে, আপনার গুরুকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দিয়ে আপনার গুরুর আশীর্বাদ নিন। যাঁদের গুরু জীবিত নেই, তাঁদের উচিত তাঁদের গুরুর চরণ পুজো করে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা।
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিকে গুরু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়। এই উৎসব গুরুদের সম্মানে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে শিষ্যরা তাঁদের গুরু দেবের পুজো করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।