কিছু রাশি তাদের সংবেদনশীলতা এবং আকর্ষণের কারণে অন্যদের কুদৃষ্টি দ্বারা বেশি প্রভাবিত হন। এই ব্যক্তিরা তাদের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং খোলামেলা স্বভাবের কারণে দ্রুত নেতিবাচক শক্তির শিকার হন, যার কারণে তাদের জীবনে ক্রমাগত বাধা এবং দ্বন্দ্ব থাকে।
মিথুন - মিথুন জাতকরা স্বভাবতই খুব আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল। তাদের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং খোলামেলা মনোভাব তাদের দ্রুত মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসে, কিন্তু এর ফলে তারা অন্যদের ঈর্ষা এবং নেতিবাচক শক্তির শিকারও হয়। যখন তারা খারাপ নজরে পড়ে, তখন তারা উদ্বেগ, চাপ এবং মেজাজের পরিবর্তনের মতো সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়।
প্রতিকার: মিথুন রাশির জাতকদের প্রতিদিন তুলসী গাছের যত্ন নেওয়া উচিত এবং ঘরে তুলসী পাতা রাখা উচিত। নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করা তাদের মানসিক শান্তির জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও, কালো তিল দান করা বা প্রদীপে কালো তিল পোড়ানো নেতিবাচক প্রভাব কমায়।
আরও পড়ুন - তুঙ্গে থাকবে সৌভাগ্য! শনি শুক্রের ‘একম-একাদশ’ যোগে ৩ রাশির জীবনে আলোর রোশনাই
কর্কট রাশি - বাইরে থেকে একটু কঠোর দেখতে হলেও ভেতর থেকে খুবই নরম হৃদয়ের এবং আবেগপ্রবণ। তাদের স্নেহশীল স্বভাব মানুষকে আকর্ষণ করে, কিন্তু এর ফলে তারা ঈর্ষা এবং কুদৃষ্টির শিকার হয়। কুদৃষ্টির দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা মানসিকভাবে অস্থির এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে।
প্রতিকার: নিম খাওয়া এবং ঘরে নিম পাতা রাখা কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত পূজা, বিশেষ করে শনিদেবের পূজাও উপশম করে। কালো রঙের জিনিস পরা বা ঘরে রাখাও কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন - চার মাস ধরে বক্রী হবেন শনিদেব, ঘরে বাইরে বিপদে পড়বেন এই ৪ রাশি
কন্যা - এই রাশির জাতক জাতিকারা বুদ্ধিমান, তীক্ষ্ণ মনের এবং বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতায় পরিপূর্ণ। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা এবং দুশ্চিন্তা করার অভ্যাস তাদের মানসিকভাবে বিরক্ত করতে পারে। এর ফলে তারা দ্রুত অস্থির হয়ে পড়ে এবং কুদৃষ্টির শিকার হয়।
প্রতিকার: কন্যা রাশির জাতক জাতিকাদের প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা উচিত। কালো তিল পোড়ানো এবং লেবু-মরিচের প্রতিকার করাও খুবই উপকারী। এ ছাড়া হলুদ এবং কর্পূরের মিশ্রণ পুড়িয়ে ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
তুলা - এই রাশির জাতক জাতিকারা তাদের বিনয়, ভদ্রতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ আচরণের জন্য পরিচিত। কিন্তু তাদের এই গুণটি কখনও কখনও অন্যদের ঈর্ষার কারণ হয়ে ওঠে।
প্রতিকার: তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের নিয়মিত হনুমান মন্দিরে গিয়ে পূজা করা উচিত। আপনার পোশাকে কালো তিল বা কালো সুতো বেঁধে রাখা ভালো। ঘরে কর্পূর জ্বালানো এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বজায় রাখা নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।