অমাবস্যা তিথি সনাতন ধর্মে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এবার অমাবস্যা ২৯ মার্চ, শনিবারে পড়ছে, যাকে শনি অমাবস্যা বলা হবে। এই দিনে গঙ্গা সহ পবিত্র নদীতে স্নান এবং প্রদীপ জ্বালানোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
জ্যোতিষী কল্কি রামের মতে, চৈত্র অমাবস্যা তিথি ২৮ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টা ৫৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ২৯ মার্চ বিকেল ৪ টে ২৭ মিনিটে শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে, ২৯ মার্চ শনি অমাবস্যা উৎসব পালিত হবে। এই দিনে শনিদেব কুম্ভ রাশি ত্যাগ করে মীন রাশিতে প্রবেশ করবেন, যা জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অমাবস্যা তিথিতে পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে আসেন। এই দিনে প্রদীপ জ্বালানো এবং পুজো করলে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এর ফলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি আসে।
আর্থিক সংকট সমাধানের সহজ সমাধান: যদি আপনি আর্থিক সংকটে ভুগছেন, তাহলে শনি অমাবস্যার দিন সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের নীচে জল উৎসর্গ করুন এবং সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান। এতে করে কেবল আর্থিক সংকটই দূর হবে না, পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদও লাভ হবে।
পিতৃ দোষ থেকে মুক্তির প্রতিকার: যারা পিতৃদোষে ভুগছেন তাদের এই দিন সকালে পবিত্র নদীতে স্নান করে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রার্থনা করা উচিত এবং প্রদীপ দান করা উচিত। এটি পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি দেয় এবং জীবনে শান্তি আনে।
ঘরে ইতিবাচক শক্তি আনার উপায়: শনি অমাবস্যার দিন, বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয় এবং ঘরে সুখ ও শান্তি বিরাজ করে।
সবারই টাকার প্রয়োজন। যদি কেউ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন, তাহলে শনি অমাবস্যার দিন শনি মন্দিরে যান এবং একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে কালো তিল, তেল এবং গুড় উৎসর্গ করুন শনি দেবকে। দরিদ্রদের জুতো, চপ্পল এবং কম্বল দান করুন। এটি করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে এবং কখনও অর্থের অভাব হয় না।
বিশ্বাস করা হয় যে শনি অমাবস্যার দিন ময়দার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে পিঁপড়াদের খাওয়ালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। এটি শনি দোষকে শান্ত করে এবং অর্থ সম্পর্কিত সমস্যা দূর করে। যদি আপনিও এই ধরণের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এই উপায় করে দেখুন।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)