কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর দিন দিন ভরসা বাড়ছে। ভারতের বিভিন্ন শিল্পপতিরাও এআই-কে নিজের ব্যবসার অংশ করছেন। এবার সেই পথে হাঁটল ওলা। ওলার সিইও ভাবেশ আগরওয়াল একটি বিশেষ এআই মডেল লঞ্চ করতে চলেছেন। সেখানে দশটা ভারতীয় ভাষার ডেটাবেস থাকবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এটি কাজ করবে চ্যাটজিপিটির মতোই। তবে ‘মেড ফর ইন্ডিয়া’ বলা যেতে পারে এআই সিস্টেমটিকে। ‘কৃত্রিম’ নাম দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ মডেলটির। আর্টিফিশিয়ালকে সংস্কৃত ভাষায় ‘কৃত্রিম’ বলা হয়।
হঠাৎ কেন ল্যাঙ্গুয়েজ সিস্টেম বানাচ্ছে ওলা?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই প্রযুক্তিটি সরকারের ভাষিনী মিশনকে সফল করতে একটি উদ্যোগ। ভাষিনী মিশনের উদ্দেশ্য দেশীয় ভাষার একটি ডেটাবেস বানানো। পাশাপাশি, ওই ডেটাবেস কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এআই মডেলকে ট্রেনিং দেওয়া। তবে ওলার চলতি ব্যবসার সঙ্গে কোনও মিল নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই উদ্যোগের। সম্পূর্ণ নয়া উদ্যোগ হতে চলেছে ভাবিশের ‘কৃত্রিম’।
‘কৃত্রিম’ কী কী করতে পারবে
বিচিত্র জিনিস করতে পারবে ভাবিশের ‘কৃত্রিম’। চ্যাটজিপিটির মতোই খাবারের রেসিপি বলে দিতে পারবে এটি। আবার চাইলে বাংলা কবিতা নিয়ে বক্তৃতা লিখে দিতে পারে। বলিউড সিনেমার রিভিউও করে দিতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাও ব্যবহার করতে পারবে ‘কৃত্রিম’কে। চ্যাটের মাধ্যমের গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে পারবে ‘কৃত্রিম’। জানুয়ারি মাসে বাজারে এই বেটা ভার্সন আসতে চলেছে। বিভিন্ন সংস্থা ও অ্যাপ ডেভেলপাররা এটি তখন ব্যবহার করতে পারবেন।
(আরও পড়ুন: এক রকম নয়, ৪ উপায়ে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী! জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা)
কী বলছেন ভাবিশ
ভারতের সংস্কৃতি ও সমাজ পাশ্চাত্যের থেকে অনেকটাই আলাদা। পাশাপাশি বিশাল বড় এই দেশে ভাষার সংখ্যাও প্রচুর। ভারতের উন্নয়নে তাই এআই-এর গুরুত্ব অনেকটাই বলে জানাচ্ছেন ভাবেশ আগরওয়াল। তাঁর কথায়,আগামী ২৫ বছরে ভারতের চেহারা অনেকটাইপাল্টে দেবে এআই। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি নিজস্ব ভার্সন থাকা জরুরি। ভারতের জন্য এবার সেই ভার্সন তৈরির পথে হাঁটছে ওলা।
কত খরচ করতে হবে এর জন্য
এর দরদাম নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ভাবেশ। তবে জানা গিয়েছে, একটি মডেল নয়, একাধিক মডেল তৈরি করছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, এক-একটি মডেলের এক-একরকম দামও স্থির করা হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ল্যাঙ্গুয়েজের পর ভয়েস স্পিচ-এর মডেলও তৈরি করবে ওলা।