এবার আর বিদেশে নির্মিত বিমান নয়, অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান বানানো হবে দেশেই। যুক্তরাষ্ট্র সফরে বহু বিষয়ের সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি ভারতে ফাইটার প্লেন তৈরি করবে। এই সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের জন্য একটি মাইলফলক হিসাবেই স্বীকৃত হবে। উভয় দেশই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য দীর্ঘদিন বিদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে দিন কাটাতে হত ভারতকে। এবার মুশকিল আসান, ভারতের মাটিতে এই অত্যাধুনিক ধরনের ইঞ্জিন তৈরি হবে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মার্কিন সংস্থাটির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিকস লিমিটেডের। এই চুক্তি মোতাবেক দুই সংস্থা যৌথ ভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করবে বলেই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। জিই এরোস্পেস জানায়, এটির জন্য প্রয়োজনীয় রপ্তানির বিষয়ে অনুমোদন পেতে মার্কিন সরকারের সাথে কথা চলছে। ভারতীয় বায়ুসেনার হালকা যুদ্ধ বিমান এমকে ২ প্রকল্পের অংশ হিসেবেই এই অত্যাধুনিক ইঞ্জিন নির্মাণের ভাবনা। ভারতীয় বায়ুসেনা সম্প্রতি হালকা ও দ্রুতগামী যুদ্ধবিমান ব্যবহারে নজর দিচ্ছে। জেনারেল ইলেকট্রিক সংস্থার এফ৪১৪ ইঞ্জিনগুলি যৌথ ভাবে তৈরি করবে হ্যাল।জেনারেল ইলেকট্রিক আরও জানায় মার্কিন প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে প্রযুক্তিগত কৌশল এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভারতে পাঠানো হবে। নিজেদের এফ৪১৪ ইঞ্জিন সম্পর্কে সংস্থাটি জানিয়েছে, অত্যাধুনিক এই ইঞ্জিন ভারত এবং আমেরিকা দুটি দেশকেই সামরিক ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে। মোদীর আমেরিকা সফরের আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে, আমেরিকা এবং ভারত দুই দেশই প্রযুক্তিগত এবং সামরিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবে। সেই ঘোষণাই কার্যকর হল সফরকালে। এখন দেখার কত দ্রুত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। দেশের মাটিতে অত্যাধুনিক জেট ইঞ্জিন বানানোর ফলে বৈদেশিক সম্পর্কের ময়দানে ভারতের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।