SRH vs RCB: এক ম্যাচে নেই ঋদ্ধি, তাতেই কাঁপুনি ধরে গেল ওয়ার্নারদের!

চোটের জন্য খেলতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টপ অর্ডার। ভূমিকা পালটাতে হয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারকে। শেষপর্যন্ত এলিমিনেটরে জিতলেও স্পষ্টভাবেই ঋদ্ধিমান সাহার অভাব ভালোমতো টের পেল সানরাইজার্স।প্রথম দিকে মাত্র একটা ম্যাচ খেললেও দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে নেমে সানরাইজার্সের টপ অর্ডারের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি পালটে দিয়েছিলেন ঋদ্ধি। নিজে রান তো করছিলেন। একইসঙ্গে মারকুটে শুরু করে ওয়ার্নারকে সময় নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছিলেন। তার ফলে কিছুটা পিচের চরিত্র বুঝে আক্রমণের রাস্তায় যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচেও একই ভূমিকা পালন করেছিলেন ঋদ্ধি। মরণবাঁচন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে বেশ সমস্যায় পড়ছিলেন অজি তারকা। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণের পথে হেঁটেছিলেন ঋদ্ধি। তাতে ওয়ার্নারের উপরও চাপ কমেছিল। তারপর ওয়ার্নারও নিজস্ব ছন্দে খেলতে থাকেন। শেষপর্যন্ত ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছিল সানরাইজার্স। সবমিলিয়ে চার ম্যাচে ২১৪ রান করেছেন ঋদ্ধি। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪০।কিন্তু এলিমিনেটরে সেই জায়গায় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল। ঋদ্ধির জুতোয় পা গলানোর সুযোগ ছিল শ্রীবৎস গোস্বামীর সামনে। কিন্তু একেবারে অপরিণত শট খেলে আউট হন। তিন বলে করেন শূন্য। তাতে ওয়ার্নারের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ চার ম্যাচে তিনি যেভাবে খেলছিলেন, তা বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে হচ্ছিল না। শুক্রবার কম রানের লক্ষ্যমাত্রা থাকায় হোঁচট খেয়ে জিতে গেলেও পরের ম্যাচগুলিতে বাংলার ‘পাপালি’-র অভাব সানরাইজার্সকে ভোগাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই আপাতত রবিবারের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে ঋদ্ধিকে সুস্থ করে তুলতে মরিয়া হবে সানরাইজার্স। বিশেষত প্রতিপক্ষ আবার দিল্লি ক্যাপিটালস। যে দলের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে ৮৭ রান করে সানরাইজার্সের হয়ে চাকা ঘোরাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তারপর থেকে টানা চার ম্যাচ জিতেছে সানরাইজার্স।