এটাই কি শাকিবের শেষ বিশ্বকাপ? পাকিস্তানের কাছে হেরে কী বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক?

নেদার্ল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারতেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামনে ২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কাছে হেরে ২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল টাইগাররা। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এটাই কি বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের শেষ বিশ্বকাপ। কারণ বয়স ৩৫ পাড় হয়ে গেছে। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে পরের বিশ্বকাপে কি শাকিব আল হাসানকে দেখা যাবে?আরও পড়ুন… এই পরাজয় হজম করা খুব কঠিন- নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে হেরে হতাশ তেম্বা বাভুমাপাকিস্তানের কাছে হেরে সে বিষয়ে জবাব দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। শাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমি আসলে এ বিষয়ে জানি না। বাংলাদেশের হয়ে যত বছর সম্ভব খেলার চেষ্টা করবো। আমাকে ফিট থাকতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে। ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে এটি আমার জন্য আদর্শ টুর্নামেন্ট ছিল না। আমি মনে করি, আমি আরও ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে পারতাম। তাই যতদিন ফিট আছি এবং দলের জন্য অবদান রাখছি, আমি খেলব।’আরও পড়ুন… অবশেষে কার্তিককে ছেঁটে ফেলল ভারত, একাদশে ঋষভ পন্তএবারের টি টিয়োন্টি বিশ্বকাপকে সেরা আসর বলে মনে করেন শাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘ফলের দিক থেকে চিন্তা করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই আমাদের সেরা আসর। আমি মনে করি, আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের সেই সুযোগ ছিল। নতুন ছেলেরা এসেছে, অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অন্তত এটুকুর আশা ছিল আমাদের।’টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে এর আগে একটিও জয় দেখেনি বাংলাদেশ। এবার সুপার টুয়েলভে হারিয়েছে জিম্বাবোয়ে ও নেদারল্যান্ডসকে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে ছিল সেমিফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনাও। যদিও পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় বাংলাদেশের। তবুও বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ফলের দিক থেকে এটিই তাদের সেরা আসর। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে একই কথা বলেছিলেন দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামও। তার সুরেই কথা বলেছেন দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ব্যাপারে শাকিব আল হাসান বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে ইনিংসের মাঝপথে আমরা ৭০ রানে ১ উইকেট ছিলাম। সেখান থেকে আমরা ১৪৫-১৫০ রানের কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলাম। এই উইকেটে সেটি রিজনেবল সংগ্রহ হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যেমনটা দেখেছি। ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগ সবসময়ই কঠিন, শেষ দশ ওভারে রান করা কঠিন। আমরা জানতাম পরের ব্যাটার বা নতুন ব্যাটারদের জন্য এটি সহজ হবে না। তাই সেট ব্যাটারদের ক্যারি করে ইনিংস শেষ করা জরুরি ছিল। যা হয়নি। ’