ময়দানের খুব জনপ্রিয় ছিলেন ‘ভোম্বলদা’। কিন্তু করোনার জেরে শেষ বারের মতো প্রিয় ময়দানে আসা হল না সুভাষ ভৌমিকের। জানা গিয়েছে, করোনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি মেনেই হবে তাঁর শেষকৃত্য। পরিবারের তরফে পাঁচ জনের উপস্থিতিতেই নিমতলা শশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে সুভাষ ভৌমিকের।
সুভাষ ভৌমিকের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ময়দান সহ ভারতীয় ফুটবল। প্রিয় ফুটবলার ও বাংলার সফল কোচের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্য রাজনীতিতেও। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নবান্ন থেকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, ‘বিশিষ্ট ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। সুভাষ ভৌমিক ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে তিনি যে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন, সেই দল ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। এছাড়াও তিনি কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল টিমের কোচের দায়িত্ব সুচারু ভাবে পালন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ক্রীড়াগুরু সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়াজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুভাষ ভৌমিকের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।’ সুভাষ ভৌমিক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে প্রায় নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছিল। তার মধ্যে তিন বছর আগে তাঁর হৃদযন্ত্রে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। সম্প্রতি কিছু দিন ধরে বুকে সংক্রমণের জন্য ভর্তিও ছিলেন একবালপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। তাঁর চিকিৎসা যাতে ভালো ভাবে হয়, তার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছিল বাংলার ক্রীড়ামহল। কিন্তু শেষ লড়াইটা হেরেই গেলেন লড়াকু ভোম্বলদা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।