শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়ান গেমসে ভারতীয়দের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বেশ কয়েকটি বিভাগে তারা প্রত্যাশার থেকেও ভালো পারফরম্যান্স করে জিতে নিয়েছেন পদক। এমন এক রুপকথার কাহিনী লিখেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ কিরণ বালিয়া। শট পাটার কিরণ এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে পদক জিতেছেন। মেয়েদের শট পাটে ব্রোঞ্জ জিতেছেন কিরণ। তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কর্মরত। তাদের ট্র্যাফিক বিভাগে রয়েছেন সতীশ বালিয়া। মেয়ের পদক জয় নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত তিনি। জানিয়েছেন, আমি যখন ট্র্যাফিক ম্যানেজ করি, তখন আমার মেয়ে দেশকে গর্বিত করছে।
২৪ বছর বয়সী ভারতীয় শট পাটার ইতিহাস তৈরি করেছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা শট পাটার হিসাবে এশিয়ান গেমসের ৭২ বছরের ইতিহাসে পদক জিতে নজির গড়েছেন তিনি। কিরণের বাবা যখন গাজিয়াবাদের কাছে ট্র্যাফিক সামলাতে ব্যস্ত থাকেন তখন কিরণের মা তাঁকে দুবেলা অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন নিজের স্কুটিতে চাপিয়ে। কাজের চাপ এতটাই বেশি থাকে সতীশ বালিয়ার যে, এশিয়ান গেমসে নিজের মেয়ের মেডেলজয়ী পারফরম্যান্স দেখারও সুযোগ হয়নি। শট পাটের ফাইনালে ১৭.৩৬ মিটার থ্রো করে ব্রোঞ্জ পদক জয় নিশ্চিত করেন কিরণ। এই বিভাগেই সোনা জেতেন চিনের গঙ্গ লি যাও (১৯.৫৮ মিটার) এবং রুপো জেতেন চিনের সঙ্গ জিয়াউন(১৮.৯২ মিটার)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণের বাবা বলেছেন, ‘আমি যখন ট্র্যাফিম ম্যানেজ করি, ঠিক তখন আমার মেয়ে আমাদের দেশকে গর্বিত করছে। এর থেকে বড় পাওনা একজন বাবা হিসাবে আর কী বা হতে পারে! ছোটবেলায় ও একটি মোটা ছিল। ফলে সেই সময়ে ও জ্যাভলিনের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। অনুশীলন করত। একদিন অনুশীলন করতে গিয়েই চোট পেল। তখন কোচ রবিন সিং ওকে দিয়ে শট পাট খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। আমার স্ত্রী কিরণকে সঙ্গে করে রোজ অনুশীলন করাতে নিয়ে যেত। রোজ দুবেলা নিজের স্কুটিতে চড়িয়ে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেত, আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসত। ধীরে ধীরে সব কিছুর খরচ বাড়তে থাকে। আমার পক্ষে চালানোও সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের থেকে তখন সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।