বিজেপি ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিপুল পরিমাণ আসনে জয়ী হল। পঞ্চায়েত নির্বাচন কিন্তু এখনও হয়নি। তার আগেই এই ছবি ফুটে উঠেছে উত্তর–পূর্ব রাজ্যে। আগামী ৮ অগস্ট ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এখানের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ৭১ শতাংশ আসনে জয়ী হয়ে গিয়েছে বিজেপি। এখানকার অনেক মানুষই বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার উদাহরণ টানা হয়। ত্রিপুরায় তো বিজেপি। এখানে এমন হল কেন? মোট ৬,৮৮৯টি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে ৪,৮০৫টি আসনে।
এদিকে ত্রিপুরায় বিজেপি ৭২ শতাংশ আসন জিতেছে গ্রাম পঞ্চায়েতে। ৬৮ শতাংশ আসন জিতেছে পঞ্চায়েত সমিতিতে এবং ১৭ শতাংশ আসন জিতেছে জেলা পরিষদে। আর সব কটি আসনই জিতেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ হাজার ৩৭০ আসনের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। সুতরাং ১ হাজার ৮১৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যার মধ্যে বিজেপি ১ হাজার ৮১৮টি আসনে লড়বে। সিপিএম লড়বে ১২২২টি আসনে। আর কংগ্রেস ৭৩১টি আসনে। তবে তিপ্রা মোথা ১৩৮টি আসনে লড়াই করবে। এছাড়া কিছু নির্দল প্রার্থীও আছে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে, কেমন আছেন এখন?
অন্যদিকে ত্রিপুরায় ৭১ শতাংশ আসনে আর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবেই না। কারণ তার আগেই সেগুলি চলে এসেছে বিজেপির দখলে। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব অসিত কুমার দাস বলেন, ‘বাকি আসনে সিপিএম এবং কংগ্রেস অল্প কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপির মিত্র দল তিপ্রা মোথা ১৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মহেশখলা পঞ্চায়েতের একটি আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রয়াত হওয়ায় সেখানে ভোট হবে না। পঞ্চায়েত সমিতিতে৪২৩টি আসনের মধ্যে ২৪৪টি আসনে জয় এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।’
এছাড়া ১৮৯ আসনে লড়াই করবে বিজেপি। সিপিএম এখানে ১৪৮টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেস ৯৮টিতে এবং তিপ্রা মোথা ১১টি আসনে। জেলা পরিষদের ১১৬টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে আর ৯৬টি আসনে নির্বাচন হবে। এই ৯৬টি আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি। আর সিপিএম ৮১, কংগ্রেস ৭৬ এবং তিপ্রা মোথা দুটি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে সাতজন নির্দল প্রার্থীও আছে। আগামী ১২ অগস্ট ভোট গণনা হবে। ২০১৯ সালে বিজেপি ৯৫ শতাংশ আসন জিতেছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। আবার প্রার্থী দেওয়ার পরও জোর করে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ত্রিপুরার বাম নেতাদের অভিযোগ, একেবারে পশ্চিমবঙ্গের ছবি দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরায়।