একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। পরপর দুটি ঘটনা রাজধানীতে। একেবারে সিনেমায় যেমন হল। হাড়হিম ঘটনা। সূত্রের খবর দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবলকে খুন করে পালাচ্ছিল তিনজন। তবে তাঁকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনার সূত্রপাত ২৩শে নভেম্বর ভোরবেলার দিকে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
সূত্রের খবর, কিরনপাল নামে ওই কনস্টেবল ২০১৮ সালে দিল্লি পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সেদিন গোবিন্দপুরী এলাকায় আর্য সমাজ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় তিনজন তার সামনে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। ওই কনস্টেবল এরপর তাদের গাড়ির চাবি কেড়ে নেন। মূলত কেন তারা এত রাতে ঘোরাফেরা করছে সেটা জানার জন্য বাইকের চাবি তিনি নিয়ে নিয়েছিলেন। এদিকে এরপরই ওই যুবকদের সঙ্গে কনস্টেবলের বচসা শুরু হয়ে যায়। সেই সময় এক যুবক ছুরি দিয়ে কনস্টেবলকে আঘাত করে। এর জেরে মৃত্যু হয় তার।
এদিকে পরে কনস্টেবলের সহকর্মীরা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ তদন্তে নেমে দুজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ফেলে। দীপক আর কৃশ। দীপক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা করছিল। এরপর পুলিশও এনকাউন্টার করে। তার জেরে পায়ে গুলি লাগে দীপকের। পুলিশ এরপর দুজনকে গ্রেফতার করে। এদিতে ততক্ষণে পুলিশ তৃতীয় অভিযুক্ত রাঘব ওরফে রকির খোঁজ করছিল।
এরপর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ও নারকোটিক্স সেল শনিবার রাতে সংগ্রাম বিহার এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। এরপর পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান পায়। পুলিশ তাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলে। এদিকে রাঘব ততক্ষণে পিস্তল নিয়ে পুলিশ টিমের দিকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশ আত্মরক্ষায় পালটা গুলি করে। এরপর পুলিশের গুলিতে আহত হয় রাঘব। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশ রাঘবের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করেছে। দুটি তাজা গুলিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কার্যত ফিল্মি কায়দায় গোটা ঘটনা হল রাজধানীতে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্তি কি না সেটা পুলিশ দেখছে। সেই সঙ্গেই ওরা বন্দুক কোথা থেকে পেয়েছিল, তাদের আসল মতলব কী ছিল সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।