হরিয়ানায় লোকসভা নির্বাচনের আবহে ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একটি নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল বলেন, মুকেশ আম্বানি ছেলের বিয়ের জন্য যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন তা ছিল সাধারণ মানুষের টাকা। কৃষি অধ্যুষিত হরিয়ানায় রাহুল আরও অভিযোগ করেন, যে বিজেপি সংবিধানকে আক্রমণ করেছে এবং দেশের মুষ্টিমেয় ধনকুবেরদের জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঘণ্টাখানেক আগেও ছিলেন বিজেপির প্রচারে, সটান হাজির রাহুলের মঞ্চে প্রাক্তন এমপি
হরিয়ানার সোনিপতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রায়বেরেলির সাংসদ বলেন, ‘আপনি কি জানেন যে আম্বানি তাঁর ছেলের বিয়েতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন? এটা কার টাকা? এটা আপনার টাকা। আপনিও চান আপনার সন্তানদের বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে হোক। কিন্তু, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছেন যেখানে ভারতের ২৫ জন ধনকুবের তাদের বিয়েতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারে। কিন্তু, একজন কৃষক একটি বিয়ের আয়োজন করতে গিয়েই ঋণে ডুবে যায়।’রাহুলের দাবি, এটি সংবিধানের ওপর আক্রমণ।
উল্লেখ্য, ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি এবং শিল্পপতি বীরেন বণিকের কন্যা রাধিকা বণিক গত জুলাই মাসে মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। তাতে দেশ-বিদেশের তারকা থেকে শুরু করে খ্যাতনামা ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। হলিউড, বলিউড, কলিউড থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যেন কোনও কিছুই বাদ যায়নি এই বিয়েতে। এরকম বিয়ে আগে দেখেনি ভারতের মানুষ। বিয়েতে খরচ হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি টাকা। গান্ধী পরিবার যদিও এই বিয়েতে আসেনি, যদিও তারা নিমন্ত্রিত ছিল। তবে কংগ্রেসের অনেক বড় নেতা হাজির ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।
বাহাদুরগড়েও নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারকে অগ্নিপথ নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। বলেছিলেন, অগ্নিপথের মতো প্রকল্পগুলি ভারতীয় সৈন্যদের কাছ থেকে পেনশন, ক্যান্টিন এবং শহীদের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, অগ্নিপথ নিয়ে রাহুল এবং তাঁর দল যে প্রচার চালাচ্ছেন তা পুরোপুরি মিথ্যে।
কৃষি-অধ্যুষিত হরিয়ানায় তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেসও এবার হরিয়ানা দখলে মরিয়া। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় ভোট হবে আগামীকাল ৫ অক্টোবর এবং ফলাফল ঘোষণা হবে ৮ অক্টোবর।