গতকাল সংসদের উভয় কক্ষকে সম্বোধন করে ভাষণ দিয়ে বাজেট সেশনের সূচনা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই ভাষণের পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে দ্রৌপদী মুর্মুকে 'পুওর থিং' (বেচারি) বলে সম্বোধন করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। আর তা নিয়েই এখন উত্তাল দিল্লির রাজনৈতিক মহল। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। দিল্লির দ্বারকায় একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আজ ঔদ্ধত্য দেখলাম। রাষ্ট্রপতি মুর্মু আজ সংসদে ভাষণ রাখেন। তবে রাজ পরিবারের এক সদস্য আজ বলেন, তাঁর বক্তৃতার ভাষা নাকি বোরিং ছিল। এদিকে অপর একজন বলেন তাঁর ভাষণ খুব ক্লান্ত ছিল। আমার মনে হয় আরবান নকশালদের ভাষাই বেশি আকৃষ্ট করে এই রাজ পরিবারকে।' (আরও পড়ুন: Sensex LIVE: বাজেটের দিনে কোনদিকে সেনসেক্স? শেয়ার বাজােরের আপডেট জানুন এখানে)
আরও পড়ুন: Budget LIVE: রেকর্ড অষ্টম বাজেট নির্মলার, আজ বড় কোনও 'উপহার' পাবে মধ্যবিত্ত?
ঠিক কী বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী? কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন, 'রাষ্ট্রপতি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন শেষের দিকে। তিনি আর বলতেই পারছিলেন না প্রায়। বেচারি।' এদিকে সেই সময় পাশ থেকে রাহুল গান্ধীকে তাঁর মাকে সাহায্য করতে দেখা যাচ্ছিল। মাকে কথা ধরিয়ে দিয়ে রাহুলকে বলতে শোনা যাচ্ছিল, 'বোরিং? নো কমেন্টস? একই কথা বারবার বলছিলেন?' এদিকে সোনিয়ার এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিবৃতি জারি করেছে রাষ্ট্রপতি ভবনও। তাতে বলা হয়েছে, এই মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং অনাকাঙ্খিত।
এদিকে গতকালকের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে বলেন যে, দেশ দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কেন্দ্রে মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদে দেশে তিন গুণ দ্রুত কাজ হচ্ছে। দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, 'মধ্যবিত্ত মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুবকদের শিক্ষা এবং তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্যে মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে দেশে। তেরোটি ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভাষা সম্পর্কিত বাধাগুলি দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে বিশ্বাসী এই সরকার। সরকারের লক্ষ্য ৩ কোটি মবহিলাকে 'লাখপতি দিদি'-তে পরিণত করা।'