কয়েক মাস আগের ঘটনা। তৎকালীন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা নবী হজরত মহম্মদ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল প্রতিবাদ। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি এই আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। তবে সেই ঘটনা বর্তমানে অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। তবে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে এবার বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, দেশজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের জেরেই নূপুর শর্মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তার জেরেই তিনি বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। শেষপর্যন্ত তিনি সেই বন্দুকের লাইসেন্স পেলেন।
এদিকে নূপুর শর্মার সেই মন্তব্যের জেরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। পরে নূপুর শর্মা নিজেও শর্তহীনভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে তিনি আঘাত হানতে চাননি। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। এমনকী নূপুর শর্মাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পরবর্তী সময় তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। দীর্ঘদিন অন্তরালে রয়েছেন নূপুর শর্মা। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। পাশাপাশি বিক্ষোভের জেরে গোটা দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার গ্রেফতারির দাবিতেও দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনকী তার মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে কয়েকজন আবার নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তখন তাদের উপরেও পালটা ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে। উদয়পুরে এই ঘটনায় এক দর্জিকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দেশ জুড়ে বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। কিছু জায়গায় এখনও নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ক্ষোভের আঁচ ধিকি ধিকি জ্বলে। তবে সেই সময় পুলিশ, প্রশাসন এই বিক্ষোভ দমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। বড় কোনও অশান্তি যাতে না ছড়ায় সেকারণে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদনও জানানো হয়েছিল।
তবে নূপুর শর্মাকে খুন করার জন্য নানা হুমকি চলতে থাকে ক্রমশ। তার জেরেই তিনি বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মেনেই এবার তাঁর জন্য বন্দুকের লাইসেন্স ইস্যু করা হল বলে খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup