মণিশঙ্কর আয়ার। এক সময় ছিলেন ভারতের কূটনীতিবিদ। পরে রাজনীতিতে আসেন । কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতের কনসাল জেনারেল হিসাবে ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করাচিতে ছিলেন। তাঁর নতুন বই Memoirs of a Maverick-The first fifth years নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা।
পিটিআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভারতের বড় সম্পদ হল পাকিস্তানে বসবাসকারীরা, যারা ভারতকে শত্রু দেশ বলে মনে করেন না। তিনি বলেন, একদিন একটা ডিনার থেকে ফিরছি। পোস্টিংয়ের প্রথম দু তিন সপ্তাহের ঘটনা। আমার স্ত্রী সুনীত আমায় প্রশ্ন করেছিল, যেটা করাচিতে থাকার সময় বার বার মনে হত, এটা একটা শত্রু দেশ , ঠিক আছে?
কিন্তু এরপর থেকে নিজেকেই নিজে এই প্রশ্নটা করতাম। গত ৪০ বছর ধরে এই প্রশ্নটা বারে বারে এসেছে।
তবে শেষ পর্যন্ত আমি একটি উপসংহারে এসেছি যে আর্মি, রাজনীতির একাংশের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, পাকিস্তানের মানুষকে যতটা জানি তারা শত্রু দেশের নয়, তারা ভারতকে শত্রু বলে মনেও করে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেকবার আমরা দেখাই যে পাক সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দিই না, ভিসা বন্ধ করা হয়, সিনেমা বন্ধ, বই বন্ধ, টিভির অনুষ্ঠান বিনিময় বন্ধ, বেড়ানো বন্ধ,সেক্ষেত্রে আমরা পাকিস্তানের লোকজনের মনোভাব বুঝব কী করে? এটা আমাদের কূটনীতির বড় অংশ।
তিনি বলেন, প্রায় প্রত্য়েক প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁদের সময় থাকে তবে পাকিস্তানের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তবে মোদীর আমলে পুরো বন্ধ। তবে তার জেরে পাক আর্মিকে ভুগতে হচ্ছে না। ভুগতে হচ্ছে পাকিস্তানের মানুষকে যাদের অনেক আত্মীয় ভারতে থাকেন। তারা আর ভারতে আসতে পারছেন না।
তিনি জানিয়েছেন, করাচিতে থাকার সময় তিন লাখ ভিসা দিয়েছিলাম। একটাও অপব্যবহার করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন পাকিস্তানের মানুষকে টার্গেট করছি? পাকিস্তানি প্রশাসনকে টার্গেট করতে পারেন, যদি চান কিন্তু যতদূর জানি পাকিস্তানের মানুষ সম্পর্কে, তারা আমাদের বড় সম্পদ।