রাজ্যসভায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের সময় বিরোধীরা স্লোগান, প্রতিবাদে মুখর হন। খানিক বাদে তাঁরা ওয়াক আউটও করেন। এরপর কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাঁরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন? তার জবাবে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘ ইন্ডি জোট ওয়াক আউট করে, কারণ প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছিলেন।’
বিজেপিকে বিঁধে, মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, বিজেপির মূল বিরোধী বিজেপি নয়, বরং সংবিধান। তিনি অভিযোগ তোলেন, বিজেপি-আরএসএস সংবিধানের বিরোধী। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন,' ইন্ডি জোটের দলগুলি রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেছে কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদী মিথ্যা বলছেন। ওঁরা বলেন যে আমরা সংবিধানের বিরুদ্ধে, কিন্তু সত্য হল বিজেপি-আরএসএস, জনসঙ্ঘ এবং তাদের রাজনৈতিক পূর্বপুরুষরা সংবিধানের তীব্র বিরোধিতা করেছিল।' খাড়গে বলেন, 'তারা একটা সময় ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। এটি একটি লজ্জাজনক বিষয় ছিল, এটা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরোধী।' তিনি বলেন, সত্যিটা হল যে, সংবিধানের খসড়া তৈরির কৃতিত্ব বাবা সাহেব আম্বেদকর কংগ্রেসকে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময়ই প্রবল স্লোগানে সোচ্চার হন বিরোধীরা। তারপর তাঁরা ওয়াক আউট করেন। সেই বিষয়ে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন,'দেশ দেখছে, যাঁরা মিথ্যা ছড়িয়েছে তাঁদের সত্যি শোনার ক্ষমতা নেই।' এদিকে, তার আগে, নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের সময় বিরোধী শিবির থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে কথা বলতে চান। সেই বিষয়ে খাড়গে বলেন,'আমি ওঁকে (মোদীকে) বললাম যে, আপনারা সংবিধান বানাননি, আপনারা এর বিরোধী ছিলেন। আমি শুধু স্পষ্ট করছিলাম যে সংবিধানের বিরুদ্ধে কারা ছিলেন, আর পক্ষে কারা। তারা (আরএসএস) সংবিধানের বিরোধিতা করেছে।' খাড়গে এদিন একটি পোস্টে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে আরএসএসএর মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ এর একটি পুরনো সংস্ককরণের লেখা তুলে ধরেন। ১৯৪৯, ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত সেই সংস্করণে র যে লেখা খাড়গে তুলে ধরেন, তাতে লেখা, ‘ভারতের এই নতুন সংবিধানের সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল এতে ভারতীয় কিছুই নেই। প্রাচীন ভারতের আশ্চর্যজনক সাংবিধানিক বিকাশের কোন উল্লেখ নেই। ’