রেজাউল এইচ লস্কর
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। রবিবার তিনি একেবারে ভারতকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ মার্চের মধ্য়ে ভারতকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এদিকে গোটা ইস্যু সম্পর্কে আলোচনার জন্য মালেতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনাতেও বসেছিলেন।
মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে ভারতীয় প্রতিনিধিদের যেন বলে দেওয়া হয় যে মার্চের মাঝামাঝির মধ্য়ে ভারতীয় সেনাদের তুলে নিতে হবে। মালেতে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের মুখ্যসচিব আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন।
ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এনিয়ে দ্বাদশ মিটিং হল । ইব্রাহিম জানিয়েছেন, দুটি দেশের মধ্য়ে সম্পর্ককে ঠিকঠাক রাখার জন্য ভারতীয় সেনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ও গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। গত বছর মুইজ্জু নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মধ্য়ে সম্প্রতি আবার মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন সেখানকার রাষ্ট্রপতি। এরপরই একেবারে ভোলবদল। এদিকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে ও খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে মলদ্বীপ ভারতের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এক্ষেত্রে চিন সফর শেষে আসার পর থেকেই বেসুরো গাইছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি।
মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির অফিসের এক মুখপাত্র ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন স্থানীয় মিডিয়াকে যে মুইজ্জু ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্য়ে মিটিং হয়েছিল। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছিল।
এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহোয়ার সহ অন্য়ান্য় কূটনীতিবিদরা ওই মিটিংয়ে ছিলেন বলে খবর। মলদ্বীপের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের অফিসের চিফ অফ স্টাফ আবদুল্লাহ ফায়াজ সহ অন্যান্যরা ছিলেন।
এদিকে গত বছর থেকেই মুইজ্জু এই ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ থেকে সরানো নিয়ে সুর চড়াচ্ছিলেন। ওখানে ৭৭জন সেনা রয়েছেন ভারতের তরফে। দুটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমান রয়েছে। এদিকে চিন থেকে ফিরে আসার পরেই ভারতের সেনাদের মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করার ব্যাপারে একেবারে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছেন মুইজ্জু। এমনকী এমন সব মন্তব্য তিনি করছেন যা আপাতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।