জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটপর্বের দুই পর্ব সমে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম দুই পর্বে ২৪ ও ২৬ আসনে যথাক্রমে ভোট হয়েছে। এদিকে, সদ্য ভূস্বর্গে পার্টির তরফে প্রচারে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বিজেপি প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে জম্মু ও কাশ্মীরে’। এদিকে, মোদীর দাবির পরই কংগ্রেসের তরফে কাশ্মীরের নেতা গুলাম আহমেদ মীর দাবি করেন, বিজেপি ১০ থেকে ১২র বেশি আসন জম্মু ও কাশ্মীরে পাবে না।
জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও বাকি রয়েছে তৃতীয় দফার ভোটপর্ব। গত ১৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২ পর্বের ভোট হয়েছে। এরপর ১ অক্টোবর রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে তৃতীয় ও শেষ পর্বের ভোট। তার আগে প্রচারে জম্মু গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভিড়ে ঠাসা জম্মুর মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে দলীয় প্রচারে গিয়ে মোদী বলেন,' এই ভোট ঐতিহাসিক জনমত দিতে চলেছে। জম্মুর মানুষের কাছে সুযোগ রয়েছে তাদের নিজের সরকার বেছে নেওয়ার।'
মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বিজেপি প্রথমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজেদের সরকার গড়বে। এটা জম্মুর মানুষের স্বার্থের জন্য বেশ আবেগঘন বিষয় হবে, তাঁদের যে স্বার্থ বহুদিন বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এবার এটা ঐতিহাসিক সুযোগ হতে চলেছে।’ ভূস্বর্গে প্রথম দুই দফার ভোটপর্ব নিয়ে মোদী বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারবাদে মানুষ বিরক্ত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ও ২৫ সেপ্টেম্বরের ভোটে বিজেপির সপক্ষে মানুষ ভোট দিয়েছে।’
এদিকে, ভোট নিয়ে মোদীর বার্তার পর চুপ করে নেই কংগ্রেসও। উল্লেখ্য, স্থানীয় দল ফারুক আবদুল্লাহদের ন্যাশনল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে কাশ্মীরে লড়ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে কাশ্মীরের সিনিয়র নেতা গুলাম আহমেদ মীর বলেন,'বিজেপি সরকার গড়াই কোনও সুযোগ পাবে না, তাদের নিজেদের সরকার তো ছেড়েই দিন। বিজেপি ১০ থেকে ১২র বেশি আসন পাবে না। কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট ছাড়া আর কোনও পার্টিই ৩০ থএকে ৩৫ এর বেশি আসন পাবে না।আর এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আর কোনও পার্টি নেই যার সঙ্গে বিজেপি জোট বাঁধতে পারে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, আর শেষ পর্যায়ের ভোট পর্বেও তাঁরা ওদের শিক্ষা দেবে। '