লকডাউন শিথিলতার সঙ্গে সঙ্গে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্ব বাজারেও ব্যারেলপিছু ব্রেন্টের অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার থেকে ভারতে প্রতি লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম ৬০ পয়সা করে বাড়়ল। প্রায় ৮০ দিনে এই প্রথম জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল তেল সংস্থাগুলি।গত ১৬ মার্চ শেষবার সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছিল। প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম সংশোধন করা হলেও সেদিন থেকে দাম পালটানো হয়নি। তারপর বিভিন্ন রাজ্যগুলি ভ্যাট বা সেস বাড়ানোয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে পেট্রল বা ডিজেলের দাম বেড়েছিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবশ্য অধিকাংশ রাজ্যই সেই পথে হেঁটেছিল।করোনা পরিস্থিতির মধ্য়ে গত ৫ মে লিটারপিছু পেট্রলের উপর বাড়তি ১০ টাকা এক্সাইজ ডিউটি চাপিয়েছিল কেন্দ্র। প্রতি লিটার ডিজেলে তা একধাক্কায় ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। ৬ মে থেকে সেই বাড়তি এক্সাইজ ডিউটি নেওয়া হলেও তেলের দামে প্রভাব পড়েনি। কারণ তার আগে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম হুড়মুড়িয়ে পড়েছিল।এরইমধ্যে বিশ্ব বাজারে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। গত শুক্রবার ব্যারেল পিছু তেলের দাম দাঁড়ায় ৪২ ডলার। যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ। তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের শেষে যা দাম ছিল, তার থেকে তেলের দাম এখন এক-তৃতীয়াংশের কম। একইসঙ্গে লকডাউনের জেরে এপ্রিলে জ্বালানি তেলের চাহিদাও প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। তবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গতিবিধিতে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর পেট্রল ও ডিজেলের কিছুটা চাহিদা বাড়লেও গত বছর মে'র তুলনায় তেলের চাহিদা প্রায় ৩৮.৯ শতাংশ কম।পেট্রল এবং ডিজেলের নয়া দাম : দিল্লি : পেট্রল - ৭১.৮৬ টাকা। ডিজেল - ৬৯.৯৯ টাকা।কলকাতা : পেট্রল - ৭৩.৮৯ টাকা। ডিজেল - ৬৬.১৭ টাকা।মুম্বই : পেট্রল - ৭৮.৯১ টাকা। ডিজেল - ৬৮.৭৯ টাকা। চেন্নাই : পেট্রল - ৭৬.০৭ টাকা। ডিজেল - ৬৮.৭৪ টাকা।