নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এএনআই জানিয়েছে, কাঠমান্ডু উপত্যকায় মারা গিয়েছেন ৩৪জন, ৭জন কোশীতে, বাগমতী প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে ১৯জন মারা গিয়েছেন।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিল কুমার তামাং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, শুক্রবার সকাল থেকে আরও ৬৯ জন নিখোঁজ ও ৬০ জন আহত হয়েছেন।
নেপাল পুলিশের উপ-মুখপাত্র বিশ্ব অধিকারী পিটিআইকে বলেন, নিহত ৬৬ জনের মধ্যে ৩৪ জনই কাঠমান্ডু উপত্যকায়, যেখানে ৪০ লাখ মানুষের বসবাস।
নেপালের পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, হিমালয়ের দেশটির ৬৩টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। হিমালয়ের দেশটির অধিকাংশ নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে, রাস্তা ও সেতুর ওপর দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৈঠক ডেকেছেন নেপালের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রধান-সহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
নেপালজুড়ে সব স্কুল তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু বন্যার কারণে প্রধান সঞ্চালন লাইন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সারাদিন বিদ্যুৎহীন ছিল, তবে সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ পুনরায় চালু হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের কারণে কাঠমান্ডুতে প্রবেশের সমস্ত পথও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাঠমান্ডুতে ২২৬টি বাড়ি ডুবে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেপাল পুলিশের প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তা কর্মীর একটি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, 'সরকারের এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে লোকজনকে উদ্ধার করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা।
মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি নিরুৎসাহিত করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্বত্য দেশটিতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।
একেবারে ভয়াবহ অবস্থা নেপালে। উদ্ধারকারী টিম বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। একের পর এক মানুষের মৃত্যু। পাহাড়ি এলাকায় ধস নেমেছে। বহু সড়কের অবস্থা বিপর্যস্ত। যারা পুজোয় নেপাল বেড়াতে যাবেন ভেবেছিলেন তাঁরা যাওয়ার আগে খোঁজখবর নিতে পারেন।