সরকারি আধিকরিকদের থাকার জন্য প্রাচীন ষোড়শ শতাব্দীর সৌধ ভেঙে বাসভবন বানানোর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আইএএস উদিত প্রকাশ রাইয়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি সরকারের নজরদারি সংক্রান্ত দফতর নোটিস পাঠিয়েছে ওই আইএএস অফিসারকে। সৌধ ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি সমেত একাধিক বিরোধী দল।
দিল্লি জল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে যখন পদে ছিলেন, তখন উজিত প্রকাশ রাই ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ষোড়শ শতাব্দীর এক প্রাচীন সৌধ ভেঙে সেখানে অফিসারদের থাকার বাসভবন নির্মাণের নির্দেশের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, প্রাচীর ভারতে ওই পাঠান আমলের সৌধ ভেঙে ফেলার নির্দেশের ঘটনায় দিল্লি জল বোর্ডের আরও ৫ ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে এই সৌধ ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। ওই জায়গায় জল বোর্ডের সিইওর থাকার অফিশিয়াল বাসভবন তৈরির নির্দেশ ছিল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা সম্পর্কে ওই অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে দিল্লি সরকারের নজরদারি সংক্রান্ত বোর্ড।
( ‘আমার মেয়ে তাঁর স্বামীকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন’, বক্তব্য সুনাকের শাশুড়ি সুধার)
উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির লাজপত নগরের জলবিহারের কাছে ওই বিশেষ সৌধটি স্থাপিত ছিল। এককালে বহু প্রাচীন যুগে সেখানে খআইজার খান গড়ে তুলেছিলেন খাজিরাবাদ শহর। সইদ বংশের খাইজারের নির্মিত রাজপ্রাসাদের কিছু ধ্বংসাবশেষ সৌধ দিল্লিতে ছিল জলবিহার এলাকায়। এই সৌধের নাম আর্কিওলজিক্যাল সার্ভ অফ ইন্ডিয়ার তালিকাতেও রয়েছে। অভিযোগ, সেই ধ্বংসাবশেষের অংশ ভেঙে সেখানে ওই আবাসন নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন আইএএস অফিসার উজিত প্রকাশ রাই। ঘটনা ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস একযোগে নিন্দা প্রকাশ করেছে। পার্টিগুলি এই ঘটনার সাপেক্ষে পদক্ষেপ দাবি করেছে। মহুয়া মৈত্র এই ইস্যুতে কেন্দ্রের জি কিষেণ রেড্ডিকে পদক্ষেপ নিতে দাবি করেছেন। দিল্লি বিজেপি প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করে লেফ্টন্যান্ট গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিকে, যে আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে এই অফিযোগ তাঁকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।