ডাইনি সন্দেহে ওড়িশার মালকানগিরিতে কুপিয়ে খুন করা হল এক আদিবাসী দম্পতিকে। তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় রোগ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন প্রতিবেশীরা।
মালকানগিরির পুলিশ জানিয়েছে, পেন্ডালগুডা এলাকায় নিহত হয়েছেন সামা মাডি (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী সুকুরি মাডি (৪২)। রক্তাপ্লুত অবস্থায় তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে নিহত দম্পতির প্রতিবেশী মুকা মাড়কামির পা ফুলে ওঠে। তাঁর স্ত্রী লাখমা মাড়কামিরও একই রকম পা ফুলে যায়। এর পর তাঁদের ১০ বছর বয়েসি মেয়েরও পা ফুলে যায় এবং সে মারা যায়। গোটা পরিবারের এই রোগের জন্য তাঁদের প্রতিবেশী মাডি দম্পতির বিরুদ্ধে কালো জাদু প্রয়োগ করার অভিযোগ আনেন।
২০১৩ সালে ডাইনি হত্যা নিবারণ আইন পাশ করানোর পরেও ওড়িশায় প্রান্তিক জনজাতি অধ্যূষিত এলাকায় এই ধরনের হত্যাকাণ্ড রুখতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। চলতি মাসের গোড়ায় ১৭ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে ১৪ বছরের এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে। মাত্র তিন দিন আগে মালকানগিরিতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছে বছর আঠারোর সামারু মাড়কামির দেহ, যাকে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে খুন করে প্রতিবেশীরা।
চলতি মাসে ডাইনি সন্দেহে ময়ূরভঞ্জ জেলায় মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে এক বছর তিরিশের মহিলার। গত সপ্তাহে স্থানীয় পঞ্চায়েতে এক দম্পতিকে চিহ্নিত করার পরে গণপ্রহারের শিকার হন এক বধূ। তাঁর স্বামীকে ফুটন্ত জলে হাত ডুবিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়।
ডাইনি সন্দেহে খুন রুখতে কিছু দিনের মধ্যেই সচেতনতা বাড়ানোয় গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচার অভিযান চালু করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য প্রশাসন।