ভারতীয় গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছে ফেসবুকের ভারতীয় নেতৃত্ব। এই অভিযোগ করে ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুগারবার্গের কাছে নালিশ ঠুকল কংগ্রেস পার্টি। ফেসবুকের যারা ভারতে দায়িত্বে আছে তাদের বিরুদ্ধে সময় ধরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হোক বলে চিঠিতে দাবি করেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। আঁখি দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া হোক, এই দাবিও করেছে কংগ্রেস। ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে ফেসবুক ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার পরেই বিরোধীদের তোপের মুখে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল যে অনেক বিজেপি নেতার ক্ষেত্রে উস্কানিমূলক বক্তব্যে কোনও ব্যবস্থা নেইনি ফেসবুক। বেনুগোপাল চিঠিতে বলেন যে তদন্ত করা হোক এই সব অভিযোগের এবং কী তাতে বেরিয়ে এল তা জনসমক্ষে জানানো হোক। এই চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করে রাহুল গান্ধী বলেন যে অনেক কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। তিনি অভিযোগ করেন যে পক্ষপাতিত্ব, ফেক নিউজ ও হেট স্পিচ, এই তিনের সঙ্গে যুক্ত ফেসবুক। এর বিরুদ্ধে সব ভারতবাসীর সোচ্চার হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। ফেসবুক অবশ্য আগেই বলেছে যে তারা কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে তাদের নীতি অবলম্বন করে সব দেশে। তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনও অসত্য খবর বা হিংসা ছড়ানোর মতো বক্তব্যের কোনও স্থানে নেই বলেও জানিয়েছে ফেসবুক। কংগ্রেসের দাবি যে ২০১৪-র পর কোন কোন সময় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে ফেসবুক দেখেও উপেক্ষা করেছে, তার ফিরিস্তি দিতে হবে। সংসদীয় কমিটি যেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে, সেই দাবিও তারা করেছে বলে জানান ভেনুগোপাল। ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়েছিল যে অনেক সময়ই বিজেপি নেতাদের আস্কারা দিয়েছেন ফেসবুকের পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস। তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেই অভিযোগ। আঁখি দাসের বিরুদ্ধে ছত্তিসগড়ে এফআইআর করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের এসব অভিযোগ ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না বিজেপি। দলের আইটি সেলের হেড অমিল মালব্য বলেছেন যে সব জায়গায় হারের পর এখন বলির পাঁঠা খুঁজছে কংগ্রেস। নিজেদের নেতৃত্ব ব্যর্থতা লুকোতে এখন ফেসবুকের ওপর দোষ চাপাচ্ছে কংগ্রেস, বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। মালব্য বলেন যে কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলি এখন চাইছে বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার।