আচমকা বিপত্তি উত্তর প্রদেশের বারণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে। সেখানে বর্ষশেষের আগে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যে নাগাদ ঘাটের একাংশ ভেঙে ঢুকে যেতে দেখা যায়। এই তীর্থধামে আচমকা এমন বিপত্তির জেরে স্বভাবতই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কোন ঘটনার জেরে এই বিপত্তি ঘটে গেল তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, বারাণসীর এই বিখ্যাত ঘাটেই সন্ধ্যা আরতি ঘিরে জনসমাগম দেখা যায়। সেখানে আচমকা এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে আপাতত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, নতুন বছরের আগে ডিসেম্বরের ছুটিতে গোটা বারাণসী জুড়ে বেশ বড় অংশের পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ছে। সেখানে ক্রমেই ডিসেম্বরের সেষ সপ্তাহে ভিড় করছেন বহু পর্যটক। বারাণসীতে পর্যটনের মূল আকর্ষণ অবশ্যই এই দশাশ্বমেধ ঘাট। যেখানে প্রতি সন্ধ্যেয়ে আরতি দেখতে বহু মানুষের ভিড় হয়। গঙ্গারতি ঘিরে এলাকায় বহু মানুষের ভিড় দেখা যায়। এদিকে, জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যেয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় কোনও ভক্ত বা দর্শনার্থী আহত হননি। তবে কেন বা কীভাবে এই ঘাটের একাংশ ভাঙল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। প্রশ্ন উঠছে প্রশানের দিকে। ঘাটের রক্ষাণবেক্ষণে থাকা সংশ্লিষ্ট দফতরের পদক্ষেপের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ।

ভেঙে পড়েছে ঘাটের একাংশ।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বারণসীর গঙ্গাতীরবর্তী ঘাটগুলির মধ্যে অন্যতম হল দশাশ্বমেধ ঘাট। বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে অবস্থিত রয়েছে এই ঘাট। লোকায়ত বিশ্বাসে ও হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয় এই ঘাটের নির্মাণ করেছেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহাদেবকে স্বাগত জানাতে এই ঘাটের নির্মাণ করা হয় বলে বিশ্বাস হিন্দু মতে। ইতিহাস বলছে, ১৭৪৮ সালে পেশওয়া বাজি রাও বর্তমানের এই ঘাটটি তৈরি করেন। পরবর্তীকালে ইন্দোরের রানি অহিল্যাবাহি হোলকার এই ঘাট ফের নির্মাণ করেন।