নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাক ড্রোনের পৌঁছে দেওয়া অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহে আসা তিন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টর থেকে গ্রেফতার করল নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলওয়ামা থেকে মুঘল রোড ধরে শুক্রবার রাজৌরি পৌঁছে অস্ত্র সংগ্রহের পরেই তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার হয়েছে পুলওয়ামার টিক্যান অঞ্চলের বাসিন্দা রাহিল বশির ওরফে াইয়াান ভাই (২০), পুলওয়ামার কাকাপোরার বাসিন্দা আমির জান ওরফে হামজা (২৫) এবং শোপিয়ানের বাসিন্দা হাফিজ ইউনুস ওয়ানি ওরফে জুবেইর (১৯)।
তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি একে-৫৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, ১৮০ রাউন্ডের ৬টি একে ম্যাগাজিন, দুটি চিনা পিস্তল, তিনটি ৩০ রাউন্ডের পিস্তল ম্যাগাজিন, ৪টি গ্রেনেড এবং নগদ এক লাখ টাকা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক আইন, অস্ত্র আইন ও ইউএপিএ অনুসারে এফাইআর দায়ের করা হয়েছে।

গত ২০ জুন থেকে এই নিয়ে ভারতে জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার চতুর্থ পাক প্রচেষ্টা ধরা পড়ল।
রাজৌরিতে ডিজিপি দিলবাগ সিং সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘ড্রোনের সাহায্যে বেশ কিছু দিন ধরে ভারতে অস্ত্র ও মাদক ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও নজরে এসেছে। কিন্তু পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। শুক্রবার পুলিশ ও ৩৮ নম্বর রাজস্থান রাইফেলস ব্যাটালিয়নের যৌথ প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের পাচার করা অস্ত্র সংগ্রহে আসা কাশ্মীরের তিন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এলাকায় তিন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। নিরাপত্তাবাহিনীকে দেখামাত্র তারা গ্রেনেড ছোড়ে, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বিস্ফোরণ ঘটেনি। তাদের গ্রেফতারের পরে অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে পাঠানো একলাখ নগদও উদ্ধার হয়েছে, যা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছিল। ওই তিন জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের সদস্য।’
অন্য দিকে, গত ১৮ জুলাই তিন গুজ্জর জনজাতির সদস্যের বিরুদ্ধে আমশিপোরায় ভুয়ো এনকাউন্টারের তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, জানিয়েছেন ডিজিপি। নিহতদের ডিএনএ সংগ্রহ করে অনুসন্ধান চলেছে বলেও তিনি জানান।