সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রবিবার গোটা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় ‘ডটার্স ডে’! কন্যা সন্তানদের আদর-ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার আরও একটা দিন। বাড়িতে কন্যা সন্তানের প্রবেশ সেলিব্রেট করার বিশেষ দিন হিসেবেই দেখেন গোটা বিশ্বের মানুষ। মেয়ে সন্তান নিয়ে এখনও বেশ কিছু প্রান্তে রয়েছে ভুল ধারণা। সেটাকে ভেঙে দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছিল এই বিশেষ উদ্যোগ। কন্যা সন্তান যে তাঁর বাবা-মায়ের বোঝা নয়, বরং পুত্র সন্তানের মতোই সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম-- সেটাকেই প্রতীকী বার্তা হিসেবে ব্যবহার হয় আজকের দিনে।
আজকের দিনটা আপনার কন্যা সন্তানের জন্য আরও বিশেষ করে তুলতে পারেন তাঁকে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়ে। এদিন নিজের মেয়ের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটান। উপহার হিসেবে তার হাতে তুলে দিন পছন্দের জিনিস কিংবা বানিয়ে ফেলুন ওর পছন্দের খাবার। পড়াশোনা, চাকরি বা বৈবাহিক সূত্রে মেয়ে যদি আপনার থেকে দূরে থাকে, তাহলে ভিডিও কলেও জানাতে পারেন শুভেচ্ছা। অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন আদুরে ছবি বা বার্তা।
সেরকমই কিছু Whatsapp, Facebook, Instagram-এর উপযোগী উইশ বার্তা রইল আপনার জন্য।
১, মেয়েরা হল দেবদূত। তাই তো আমাদের জীবনে আসা মাত্র প্রতিটা মুহূর্ত অফুরন্ত আনন্দ এবং ভালবাসায় ভরে ওঠে।
২. মেয়ে সন্তানের বাবা-মায়েরা ভাগ্যবান। কারণ, তাঁরা ভগবানের সবথেকে পছন্দের উপহারের অধিকারী।

৩. মেয়েরা আজীবন নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যদের ভাল রাখার চেষ্টায় ঘাম ঝরিয়ে যান। তাই তাঁদের থেকে মূল্যবান সম্পদ যে আর কিছু হয় না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
৪. যে বাড়িতে করা হয় কন্যাকে সম্মান, সেই বাড়ি হয় স্বর্গের সমান। হ্যাপি ডটার্স ডে।

৫. কন্যা হল অতীতের আনন্দময় স্মৃতি, বর্তমানের সুখের মুহুর্ত, আর ভবিষ্যতের আশা এবং প্রতিশ্রুতি।
৬. বাবা-মা হিসেবে আমাদের সবার কর্তব্য হল মেয়েদের পাশে থাকা। তাঁদের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করা এবং অবশ্যই একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে তাঁদের গড়ে তোলা। এই কাজগুলি আমরা যদি ঠিক মতো করতে পারি, তাহলে তার সুফল আমরা একদিন না একদিন পাবই।

৭. মেয়েদের হাসতে শেখান। কারণ, তাঁদের হাসিতেই লুকিয়ে আছে অফুরন্ত আনন্দের চাবিকাঠি।
৮. ভাগ্যবান হলেন সেই মহিলা, যাঁর প্রথম সন্তান হল কন্যা।

৯. মেয়েরা হলেন অতীতের আনন্দময় স্মৃতি, বর্তমানের সুখের মুহূর্ত আর ভবিষ্যতের আশা এবং প্রতিশ্রুতি।
১০. মেয়েদের সম্মান জানান, তাঁরা সম্মান পাওয়ার অধিকারী। --মালালা ইউসুফজাই।