ক্যানসারের মতোই ব্রেন টিউমার হল এমন একটি মারণ রোগ, যা সঠিক সময় চিকিৎসা না করানো হলে হতে পারে মৃত্যু পর্যন্ত। ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই প্রতিবছর ৮ জুন বিশ্বব্যাপী ব্রেন টিউমার দিবস পালন করা হয়।
ব্রেন টিউমার কী?
ব্রেন টিউমার হল মস্তিষ্কে জন্ম নেওয়া এমন একটি মাংসপিণ্ড যা মস্তিষ্কের স্নায়বিক তন্ত্র গুলিকে আঘাত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ব্রেন টিউমার সাধারণত দুই প্রকার। প্রথমটি হলো, প্রাথমিক ব্রেন টিউমার এবং দ্বিতীয়টি হল সেকেন্ডারি ব্রেন টিউমার।
ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সৃষ্টি হওয়া ৭ টি ভুল ধারণা
মিথ ১: ব্রেন টিউমার মানেই ক্যানসার।
(আরো পড়ুন: হজমের সমস্যা থেকে ত্বকের স্বাস্থ্য, কাঁচা পেঁপের রস কী কী উপকার করলে জানলে চমকে যাবেন)
সত্যি: ব্রেন টিউমারের মাত্র এক তৃতীয়াংশ ক্যানসার যুক্ত। বেশিরভাগ ব্রেন টিউমার ক্যানসারে পরিণত হয় না, যদি সেটিকে সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করে নেওয়া যায়।
মিথ ২: মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্রেন টিউমার হয়।
সত্যি: এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা শাস্ত্রে এটি প্রমাণিত হয়নি, মোবাইল অথবা অন্য কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করলে ব্রেন টিউমার হয়। তবে এ কথা সত্যি, মোবাইল অথবা ল্যাপটপের দীর্ঘ ব্যবহার আপনার শরীরের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মিথ ৩: সমস্ত ব্রেন টিউমার রোগীদের উপসর্গ বা লক্ষণ একই থাকে
সত্যি: ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আলাদা আলাদা উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু মানুষের মধ্যে হঠাৎ করে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ দেখা যায় আবার কিছু মানুষের মধ্যে তেমন কোনও লক্ষণ দেখাই যায় না।
মিথ ৪: ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা সকলের জন্যই একই রকম।
সত্যি: ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। রোগীর বয়স, টিউমারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসার ধরন। টিউমার অপারেশনের পর যে সমস্ত ওষুধ দেওয়া হয় সেগুলিও প্রত্যেক রোগীদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা।
মিথ ৫: অতিরিক্ত মিষ্টি ব্রেন টিউমার সৃষ্টি করে।
সত্যি: প্রক্রিয়াজাত খাবার অথবা মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ব্রেন টিউমারের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।
(আরো পড়ুন: নতুন প্রজন্মের মধ্যে Vapes ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য তামাক কোম্পানিগুলির, বলল WHO)
মিথ ৬: ব্রেন টিউমার জেনেটিক।
সত্যি: পরিবেশগত সমস্যা বা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলাফল হলো ব্রেন টিউমার। ব্রেন টিউমারের সঙ্গে জিনের কোনও সম্পর্ক নেই।
মিথ ৭: ব্রেন টিউমার সংক্রমণ জনিত রোগ।
সত্যি: ব্রেন টিউমার এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে যায় না। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদাভাবে বিশ্রাম করতে দেওয়াই ভালো।