আমির খান বড়ই নাকি খুঁতখুঁতে। ছবির শ্যুটিংয়ের সময় সব বিষয়ে মাথা ঘামান, এমনকি সহ-অভিনেতাদের দৃশ্যেও নাকি হস্তক্ষেপ করেন। বলিপাড়ায় কান পাতলে 'মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট' আমির সম্পর্কে এমনই কথা শোনা যায়। আমিরের সম্পর্কে এই বদনাম কতটা সত্যি? সম্প্রতি সেবিষয়েই কথা বলেছেন আমিরের সহ অভিনেতা মুস্তাক খান। যিনি কিনা একসময় আমির খানের সঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
প্রসঙ্গত 'হাম হ্যায় রহি প্যায়ার কে', ‘আকেলে হাম, আকেলে তুম’, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ সহ বহু ছবিতে আমিরের সহ অভিনেতা ছিলেন মুস্তাক খান। মুস্তাক বলেন, ‘আমি আমির খানের সঙ্গে অনেক ছবি করেছি। যেকোনও ছবিতে আমিরের কাছে পরিচালক বা প্রযোজক কে? সেটা বিবেচ্য নয়, আমির ছবির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে যান। আসলে ভালো বিষয় হল, আমির চান যে ছবিটা ভালো হোক। উনি চান প্রতিটা দৃশ্য সুন্দর হোক। শুধু নিজেরটা নয়, ছবিতে যদি চারজন শিল্পী থাকেন, তাহলে উনি চান প্রত্যেকের মুহূর্তগুলোই সুন্দর হোক। যেমন ধরুন, যদি আমার কোনও দৃশ্য থাকে তবে সেটা আমার দৃশ্য, সেটা বড় কথা নয়, সেটা ভালো হোক, ওটা ওঁর কাছে বিষয়। তবে আমির সবেতে হস্তক্ষেপ করেন একথা সত্যি নয়।’
কথায় কথায়, 'আকেলে হাম আকেলে তুম' ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ের একটা ঘটনা তুলে ধরেন মুস্তাক খান। বলেন, ‘যখন আমি আকেলে হাম আকেলে তুম ছবিতে কাজ করছিলাম। সেখানে আমিরের আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবির একটা দৃশ্যে আমি ওঁর হয়ে কথা বলছি। আমির সেখানে বসে ছিলেন, আর আমি ওঁর হয়ে যুক্তি সাজাচ্ছি। তবে ওঁর সেই পয়েন্টটি পছন্দ হয়নি। উনি পরিচালক মনসুর খানকে সেকথা বলেছিলেন। মনসুর ওঁকে পাত্তা না দিয়ে শ্যুট করে ফেলেন। আমরা ৬ টায় প্যাক আপ করে ফিরে গিয়েছি, এরপর রাত ৮টায় আমিরের ফোন।'
আরও পড়ুন-ব্রা আর শর্টস পরে খেললেন ফুটবল ম্যাচ! বিয়ের সঙ্গীতেও চমকে দিলেন আমির কন্যা ইরা
আরও পড়ুন-‘শনিদেব’এর জন্য শ্রীলঙ্কার সমুদ্রে ভ্রমণ, নৌকা থেকে উল্টে পড়ছিলেন নওয়াজউদ্দিন, তারপর?
এখানেই শেষ নয়, মুস্তাক খান আরও বলেন, 'আমির আমায় জিগ্গেস করলেন, আপনি কখন ঘুমতে যান? আমি বললাম, ১১ বা ১১.৩০। পরে সেই রাতে, উনি আমাকে বলেছিলেন, ওরা আমার যুক্তিগুলো উপযুক্ত মনে করেছে, ওগুলো আবার চিত্রনাট্যকারের সঙ্গে বসে লেখা হচ্ছে। আমি বুঝলাম, উনি এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারেননি। বুঝলাম, ইয়ে আজ সোনে না দেগা (উনি আমাকে আজ ঘুমাতে দেবেন না)। আমি ওকে বললাম আমরা আগামীকাল দেখা করব, তবে উনি রাজি হলেন না। বললেন তখনই দেখা করবেন। আমি বললাম, ঠিক আছে ড্রাইভারের হাত দিয়ে দৃশ্যগুলি পাঠিয়ে দেব। আমার স্ত্রী আমাকে বললেন,কেউ আসবে না, তুমি ঘুমাও। কিন্তু নাহ, ড্রাইভার নয়, আমির নিজেই এসে হাজির হলেন আমার বাড়ি, রাত তখন ১২.১৫। ড্রাইভার এসে আমার দরজায় টোকা দিলেন, বললেন আমির নিচে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন।’