বলিউডের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ তিনি। কিন্তু সুযোগ পেলে সাংবাদিকতার ময়দানেও ছক্কা হাঁকাতে পারেন, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বরুণ ধাওয়ান। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছিলেন ‘ভেড়িয়া’ তারকা। তাতেই রাম-রাবণের ব্যক্তিত্বের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করে বসলেন বরুণ ডেভিড ধাওয়ান পুত্র। এখানেই শেষ নয়, অমিত শাহকে ‘দেশের হনুমান’ বলেও প্রশংসা জুড়ে দেন নায়ক। আরও পড়ুন-রাতে কত ঘণ্টা ঘুমোন? সইফের প্রশ্নের কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী
অ্যাজেন্ডা আজতকের মঞ্চে বরুণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপনার কথায় আমি খুবই প্রভাবিত, ভগবান রাম এবং বারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কোথায় ছিল?’
জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘কিছু মানুষ তাদের স্বার্থ নির্ধারণ করে ধর্ম অর্থাৎ কর্তব্যের ভিত্তিতে... তাদের সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত কি উচিত নয়। অন্যদের জন্য, তাদের স্বার্থ তাদের কর্তব্য দ্বারা নির্ধারিত হয়। এটাই রাম এবং রাবণ মধ্যে পার্থক্য। রামের জীবন ছিল তাঁর ধর্মের উপর ভিত্তি করে, অন্যদিকে রাবণ তাঁর নিজস্ব সংজ্ঞা এবং চিন্তাভাবনা অনুসারে তাঁর কর্তব্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন।’
ধাওয়ান তখন অনুষ্ঠানের শুরুতে শাহের করা ‘অহংকার’ সম্পর্কে একটি মন্তব্য টেনে বলেন, রাবণ তাঁর জ্ঞান সম্পর্কে ‘অহংকারী’ ছিলেন, অন্যদিকে ভগবান রামের কাছে অহংকারের জ্ঞান ছিল। অমিত শাহের কথায়, ‘এটাও ধর্মের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।’
মুগ্ধ ধাওয়ান এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দেশের ‘হনুমান’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। অভিনেতা বলেন, ‘রাহুল (সঞ্চালক) যেমন বলেছিলেন, লোকে আপনাকে রাজনীতির চাণক্য (কৌশলবিদ) বলে, তবে আমি বলতে চাই অমিত শাহজি আমাদের দেশের হনুমান, যিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশকে সেবা করে চলেছেন’।
তিনি আরও যোগ করেছেন যে অভিনেতারা সংলাপগুলি মুখস্থ করা সত্ত্বেও ‘এত স্পষ্টতার সাথে’ কথা বলতে পারে না। অমিত শাহ যা বলেন, তা মন থেকে বলেন, সেই কারণেই তিনি স্পষ্টবাদী। অমিত শাহ এদিন বরুণকে সতর্ক করে বলেন, কোনওভাবেই যেন তিনি সাংবাদিকতায় মন না দেন। কারণ অভিনয়ের কাজটা খুব সুন্দরভাবে করছেন তিনি।
বরুণকে শেষ দেখা গিয়েছে সিটাডেল হানি-বানি ওয়েব সিরিজে। আগামিতে বেবি জন নিয়ে হাজির হচ্ছেন বরুণ। যা মুক্তি পাবে ২৫শে ডিসেম্বরে।