‘মর্দানগিরি’র পাঠ দিয়ে নারী-বিদ্বেষী তকমা জুটল সঞ্জয় দত্তের,ভাইরাল পুরোনো ভিডিয়ো

মানুষের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে, কিন্তু ইন্টারনেটের নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের প্রায় ১৩ বছর পুরোনো একটি ভিডিয়ো। যার জেরে ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়ছেন সঞ্জুবাবা। পুরোনো এক বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেনের ভিডিয়ো এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে এসেছে অভিনেতার জীবনে। দিন কয়েক আগেই উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী বিরুদ্ধে রণবীর হুডার এক পুরোনো অশালীন মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়, এরপরই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এবার সঞ্জয় দত্তের দশক পুরোনো ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় নেটমাধ্যম। সেই ভিডিয়োয় ‘মর্দানগিরি’র প্রমোশন করেছেন সঞ্জুবাবা, সেটা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পিতৃতান্ত্রিক ঔদ্ধত্য ধরা পড়েছে ২.১৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভিডিয়োয় ‘পৌরুষের ঔদ্ধত্য’-এর জয়গান করে সঞ্জয় দত্ত বলেছেন, ‘মর্দানগিরি’ বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছে। পুরুষরা কেন বিউটি পার্লারে সময় কাটাবে? কেন তাঁরা সন্তানদের খেয়াল রাখবে? বাড়িতে রান্না করবে? এমনকি কেন তাঁরা ‘গার্লি’ রঙ গোলাপি কিংবা বেগুনি জামা পড়বে? প্রশ্ন রাখেন সঞ্জয় দত্ত। 'ম্যানলিনেস' বজায় রাখতে হবে, বার্তা সঞ্জয়ের আর সেইজন্য লিপ গ্লস, হ্যান্ড ক্রিম কিংবা ফুলের গন্ধযুক্ত মেয়েলি পারফিউম এক্কেবারেই ব্যবহার করা যাবে না, ওয়াক্সিং করে শরীরের লোম তোলা যাবে না।সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি এটা নিয়ে নতুন ক্রান্তি শুরু করতে চাই পুরুষদের জন্য…. সেটা হল মর্দানগিরি’। একটি পানীয়র বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেনের জন্য তৈরি হয়েছিল সঞ্জয় দত্তের এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন। মূল বিজ্ঞাপনটি বহু আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু নেটদুনিয়ায় ঘুরেফিরে আসে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী পৌরুষে ভরপুর এই ভিডিয়ো। যা দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। পৌরুষের এই চেহারা মোটেই ‘কুল’ নয়, ২০২১ এসেও কী বুঝতে পেরেছেন সঞ্জয় দত্ত? নাকি বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য ‘সাত খুন মাফ’? পালটা প্রশ্ন নেটিজেনদের।