২০২২ সালের শেষ থেকেই বারবার খবরে এসেছে ভারতের তেনিস তারক সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের মধ্যে ডিভোর্স। বেশ কিছু মাস ধরে আর একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। জানা যায়, ছেলেকে নিয়ে দুবাইতেই থাকেন বর্তমানে সানিয়া। যদিও বিচ্ছেদ নিয়ে সেভাবে মুখ খোলেননি কেউই। তবে দুই তারকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি মাঝেমাঝে উসকে দেয় এই বিতর্ক।
একসময় রটেছিল শোয়েব নাকি রটেছেন ‘পরকিয়া’য়। পাকিস্তানের সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রী আয়েশা ওমর নাকি আসেন ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হয়ে। ‘করাচি সে লাহোর’, ‘ইয়ালঘার’, ‘কাফ কঙ্গনা’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন আয়েশা। ২০২১ সালে আয়েশা আর সোয়েব কিছু বোল্ড ফোটোশ্যুট করেন একটি ম্যাগাজিনের জন্য। তারপর থেকেই শুরু সবকিছু। যদিও এসব খবর ছড়াতেই রীতমতো ফুঁসে ওঠেন আয়েশা। একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানানা, ‘আমি কখনই বিবাহিত বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হব না। সবাই আমাকে জানে এবং এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।’
কী লিখলেন সানিয়া ইনস্টাগ্রামে?
The Motherhood Home-এর একটি কোটেশন শেয়ার করে সানিয়া লিখলেন, ‘মায়েরা যারা প্রতিদিন সন্তানদের ঘুম পাড়িয়ে তারপর খানিক চোখের জল ফেলে। এই আশায় যে ওই দিনাটায় তাঁরা নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছে।… আপনিই সব। আপনি একাই একশো। আপনি আপনার সন্তানের গোটা পৃথিবী। দয়া করে এবার নিজের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হন।’

সানিয়া মির্জার ইনস্টা স্টোরি।
২০১০ সালে বিয়ে করেন সানিয়া ও শোয়েব। পাকিস্তানের মতো দেশে ভারতের ক্রীড়াবিদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে একসময় কম কটাক্ষ হয়নি। সানিয়া যদিও সবটা সামলেছিলে। এমনকী করাচিতে শ্বশুরবাড়িতেও গিয়েছেন কয়েকবার। যদিও একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা দুবাইতেই। এরপর জন্ম হয় ছেলে ইজহানের। তখনও শেষ হয়নি কটাক্ষের পালা। বারবার সানিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হত, ইজহান বড় হয়ে খেলায় গেলে কোন দেশের হয়ে খেলবে! ক্রিকেটারকে বিয়ে করে কম কটাক্ষে পড়েননি সানিয়া।
জন্মদিন হোক বা বিবাহবার্ষিকী আজকাল একে অপরকে এড়িয়ে চলেন। সম্প্রতি তো শোয়েব ইনস্টায় নিজের ‘বায়ো’-তেও আনেন বদল। এতদিন সেখানে লেখা থাকত একজন সুপারওম্যান সানিয়া মির্জার বর।। বর্তমানে তা বদলে ‘স্বামী’র থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ‘পিতৃত্বের সত্তা’কে। এখন শুধুই লেখা গর্বিত বাবা।
সানিয়া-শোয়েবের ঘনিষ্ঠ অনেকেই শিলমোহর দিয়েছেন আলাদা থাকার ব্যাপারে। শোয়েব মাঝেমাঝে দুবাই যান এখন ইজহানকে দেখতে। কিছু আইনি জটিলতার কারণেই নাকি এই সংবাদ চেপে রাখা হচ্ছে। কতটা সত্যি রয়েছে এর পিছনে, তা তো ভবিষ্যতই বলে দেবে।