মা-বাবার সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে ইতিমধ্যেই নিজের পক্ষ বেছে নিয়েছে যিশু-নীলাঞ্জনার বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত। সদ্য কলেজ পাশ করেছে সারা। এখন আর সে সৃজিতের ছোট্ট উমা নয়। নিজস্ব মতামত সর্বদাই সোশ্যাল মিডিয়ায় জাহির করে সে। যিশু-নীলাঞ্জনার ডিভোর্স চর্চার মাঝে সারার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে উঠে এল রহস্যময় পোস্ট।
দু-দিন আগে ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সারা লিখেছিলেন, , ‘স্ট্রংগেস্ট উওম্যান ইন দ্য গেম’। এবার সারা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন সেখানে বার্তা, ‘তোমাকে অতীতকে ভুলতে হবে, কারণ অতীত অর্থহীন। জীবনে একটা জিনিসই অর্থবহ, সেটা হল তুমি এখন কী হতে চাও’।
সারার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নজর রাখলে আরও একটা জিনিস আপনাকে অবাক করবে। বাবা যিশু সেনগুপ্তকে আর ফলো করেন না সারা। ইনস্টায় যে ৩৯২ জনকে ফলো করেন সারা, সেই তালিকায় অবশ্যই রয়েছেন মা নীলাঞ্জনা। যদিও মেয়েকে এখনও ফলো করেন যিশু। এর মাধ্যমকে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন সারা?
সারার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
গুঞ্জন, আপ্ত সহায়কের সঙ্গে যিশুর ঘনিষ্ঠতার জেরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর। যিশুর জীবনের নতুন নারীর নাম শিনাল সুর্তি। যিশুর সঙ্গে শিনালের আলাপ প্রায় এক দশকের। টলিপাড়ায় আগুন গতিতে খবর ছড়িয়েছে মুম্বইয়ে বেশ কয়েকমাস নাকি একসঙ্গে থাকছিলেন যিশু-শিনাল। লিভ ইনের খবর নীলাঞ্জনার কানে আসতে বেশি সময় লাগেনি।
সম্পর্ক ভাঙা-গড়া জীবনের একেকটা পর্যায়ে চোরাপথেই আসে, কিন্তু টলিপাড়ার আদর্শ দম্পতি হিসাবে পরিচিত যিশু-নীলাঞ্জনার সঙ্গে এমনটা ঘটবে তা কেউ আশা করেনি। এই কঠিন সময়ে নীলাঞ্জনাকে আগলে রেখেছে তাঁর দুই মেয়ে- সারা ও জারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা। ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে আনফলো করেছেন নীলাঞ্জনা, সঙ্গে মুছে ফেলেছেন সেনগুপ্ত পদবি। এখন তিনি শুধুই নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি যিশুর সঙ্গে নিজের অধিকাংশ ছবিই ডিলিট করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মুম্বই ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের জন্য খুব কম সময়ই কলকাতায় থাকেন যিশু। এই দূরত্বই কি কাল হল দম্পতির জীবনে?