বহুদিন ধরেই সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে জুড়েছেন গায়িকা পলক মুচ্ছল। এক সাক্ষাৎকারে পলক জানিয়েওছিলেন, তিনি কনসার্ট করেন, শুধুমাত্র দুঃস্থ শিশুদের পাশে থাকার জন্য। আর এই কাজেই তাঁর আসল আনন্দ দেয়। সম্প্রতি দুঃস্থ শিশুদের খাওয়ানোর উদ্যোগ নিলেন পলক।
শুধু দুঃস্থ শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাই নয়, নিজের হাতে খাবার মেখে সেই ছোট ছোট গরিব শিশুদের খাইয়ে দিতে দেখা গেল পলককে। আবার কখনও কাউকে তিনি কোলেও তুলে নেন। কখনও আবার ছোটছোট শিশুদের আনন্দ দিতে তাঁদের সঙ্গে খেলাধুলোতেও মজলেন বলিউডের এই গায়িকা। পলক মুচ্ছলের এমন মানবিক রূপে মুগ্ধ নেটপাড়ার বাসিন্দারা। পলক অবশ্য মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন অনাথ আশ্রমে গিয়ে দুঃস্থ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
পলক মুচ্ছলের এই ভিডিয়ো ঘিরে উঠে এসেছে নানান মন্তব্য। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘পলক দিদি আপনি সত্যিই ইশ্বরের মতো।’ কারোর মন্তব্য, ‘অনেককেই দেখেছি, তবে আপনার মতো মানুষ দেখিনি।’ কারোর কথায়, ‘আপনি তো স্বর্গ থেকে নেমে আসা পরী!’ কারোর আবার মনে হয়েছে, ‘আপনিও আসল তারকা’। কারোর বক্তব্য, ‘অন্য গায়ক-গায়িকারা গান করেন, তারপর নোংরা রাজনীতি, আপনার মতো কাজ করতে কাউকে দেখিনি।’ এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে। অনেকেই গায়িকার প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিয়ের ১ সপ্তাহও কাটেনি, হাসপাতালে দৌড়ালেন জাহির-সোনাক্ষী, শত্রুঘ্ন কন্যা কি মা হচ্ছেন?
কিছুদিন আগে ৩০০০ জন অসুস্থ শিশুর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেন পলক। সেই উদ্যোগের পরও গায়িকা জানিয়েছিলেন এখনও ৪১৩ জন শিশু আমার সাহায্যের প্রতীক্ষায় রয়েছে।
নিজের এই উদ্যোগ, সমাজসেবা প্রসঙ্গে পলক বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট, তখনই আমি এই উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি। আমি গান শুরু করার অন্যতম কারণই ছিল এটা। শীতকালে ফুটপাথের নিচে বসে থাকা বাচ্চাদের জন্য আমার সবসময় অপরাধবোধ হত। যাঁদের নিজেদের শরীর ঢেকে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়টুকুও নেই, তারাই হয় আমি যে ট্রেনে যাতায়াত করি, সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে। তাঁদের সুস্থ জীবন দিতে দায়িত্ব অনুভব করি।'
গায়িকা জানিয়েছিলেন, 'তহবিল সংগ্রহের যে প্রথম যে মিশন আমার ছিল, সেটা হল কার্গিল সৈন্যদের জন্য। আমি কেনাকাটা করতে গিয়ে গেয়েছিলাম অ্যা মেরে ওয়াতান কে লোগ। দোকানদারদের কারগিল সৈন্যদের জন্য কিছু দান করতে বলেছিলাম। আমার ভাই, পলাশ এবং আমি প্রথমবার গেয়েছিলাম, যখন রাস্তায় বসবাসকারী এক শিশু আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছিল। তারপর থেকে আমার করা প্রতি কনসার্ট হার্ট সার্জারির সুবিধার্থে নিবেদিত ছিল।’