সমুদ্র দেখলে আপনার মনে কী ইচ্ছা জাগে? জলোচ্ছ্বাসের শব্দ, দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি হাতছানি দিয়ে কী বলে যায়? নিশ্চয় চুপচাপ আনমনে ভেসে যেতে কিংবা মনের মানুষ, পরিবারের সঙ্গে নিখাদ আড্ডায় গা ভাসাতে। কিন্তু এইসব ভুলে যদি আপনাকে পেন-খাতা নিয়ে দেশের সংবিধান বা রাষ্ট্রনীতির বুলি কপচাতে হয়? একবার ভেবে দেখুন। মাসখানেক আগে তাজপুরে ঘুরতে গিয়ে ঠিক এমনই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
সমুদ্রের ঢেউ যতই পরীক্ষায় মন না বসতে দিক, এই পরিস্থিতিতেই কলেজের প্রথমবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছেন ‘রানিমা’। সৈকতের এক দিকে তাঁর পরিবার, বন্ধুরা যখন হুল্লোড়ে মেতে তখন অনবড়ত লিখে চলেছেন অভিনেত্রী। শুধু ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দেওয়ার চাপই নয়, সময়মতো সেই পরীক্ষাপত্রের ছবি তুলে পরীক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও রয়েছে। এই বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথাই সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন রানিমা।
ক'দিন আগেই সেই পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ্যে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েও অল্পের জন্য লেটার মার্কস হাতছাড়া হয়েছে দিতিপ্রিয়া, সংগ্রহে ৭৭! এছাড়া, সমাজবিজ্ঞানে ৮০-র উপর এবং ইংরাজিতে ৯০ পেয়েছেন অভিনেত্রী। মেয়ের দুর্দান্ত রেজাল্টে খুশি পরিবার।

খুব শীঘ্রই ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’কে বিদায় জানাবেন দিতিপ্রিয়া রায়, কারণ ধারাবাহিকের ট্রাক বলছে রানির মৃত্যুকাল আসন্ন। সেই নিয়ে মন খারাপ অনুরাগীরদের, কিছুটা মনভার দিতিপ্রিয়ারও। গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছিল ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র সেট। মাস কয়েক আগেই আঠারোয় পা দেওয়া দিতিপ্রিয়া অভিনয়ে যতখানি দক্ষ, পড়াশোনাতেও ততটাই মনোযোগী। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে দারুণ ফল করেছিলেন, আর আপতত আশুতোষ কলেজে স্নাতক পড়ছেন। যদিও করোনার জেরে এখনও কলেজে পা রাখতে পারেননি। অনলাইনেই ক্লাস করে যাচ্ছেন এক নাগাড়ে। সম্প্রতি সপরিবারে করোনার কবলেও পড়েছিলেন দিতিপ্রিয়া, তবে এখন সকলে পুরোপুরি সুস্থ।