ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন তাহসান-মিথিলা। কিন্তু সংসার টেকেনি। ১১ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানেন দুজনে। এরপর কেটেছে ৭ বছর। দুজনের ডিভোর্সের সময় তাঁদের মেয়ের বয়স ছিল এক বছর। এখন আয়রা রীতিমতো বুঝদার। মিথিলা এখন কলকাতার বউমা। আরও পড়ুন-একছাদের তলায়, মিথিলাকে দেখেই বললেন, ‘তোমাকে এতটাই ঘৃণা করি…’! তবু মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন তাহসান
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় চার বছর। গত চার বছরে বহুবার সৃজিত-মিথিলার বিচ্ছেদের গুঞ্জন কানে এসেছে। এখন মেয়েকে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মিথিলা। তবে দুজনে মাঝেমধ্যে কলকাতা আসেন। মূলত সৃজিত-মিথিলার লং ডিসট্যান্স দাম্পত্য এখনও গড়গড়িয়ে চলছে।
এর মাঝেই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে পর্দায় ফিরেছেন মিথিলা। এখনও পর্যন্ত সৃজিতের সঙ্গে একটা ছবিতেও কাজ করেননি, অথচ প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন। সেই নিয়ে হাজারো সমালোচনার মুখে। ‘বাচ্চা এক করতে পারল না, দেখো টাকার জন্য একসঙ্গে’, এই সমালোচনা কানে গিয়েছে মিথিলার। সেই সম্পর্কে কড়া জবাব সৃজিত ঘরণীর। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানান, ‘লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভাল আছি। আমাদের যখন বিচ্ছেদ হয় আয়রার এক বছর বয়স। ওকে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরেছি। বাড়ির সাহায্য পেয়েছি। তাহসানের কাছে বাচ্চাকে রেখে বাইরে গিয়েছি।’
মিথিলার বিশ্বাস, সন্তানকে মানুষ করতে দাদু-ঠাকুরমা, মা-বাবা থেকে বন্ধু সবার দরকার হয়। সেই কারণেই তিনি মেয়েকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘দর্শক ভাবছে ২০১৬-এর পরে ২০২৪-এ মিথিলা আর তাহসানের দেখা হল। এটা তো নয়, আমাদের তো প্রতিদিন কথা হয়। ব্যাপারটা ও রকম নয় যে বহু বছর পরে দু’জনের দেখা’।
বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তবে বন্ধুত্ব না থাকলেও সন্তানের স্বার্থে প্রাক্তনের সঙ্গে সমঝোতা করে চলা যায়, জানান মিথিলা। কারণ সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যই সবচেয়ে জরুরি। বললেন, ‘আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার (আয়রার) ক্ষতি হবে’।
আয়রা তাঁদের দুজনের কাছেই সবচেয়ে আগে। সেই প্রায়োরিটি। দুজনের চোদ্দ বছরের একসঙ্গে থাকাটা মিথ্যে হয়ে যায়নি ডিভোর্সের পর। বিশ্ববিদ্যালয়ে মন দেওয়া-নেওয়া। তারপর বিয়ে, সংসার।
প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে মিথিলার এই যোগাযোগ, সাক্ষাৎ-এ আপত্তি নেই সৃজিতের? মিসেস মুখার্জি অকপটে বললেন, ‘সৃজিত আমার সব কিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে’।
সৃজিতকে ‘আব্বু’ বলে ডাকে আয়রা, তাহসানকে ‘বাবা’ বলে। দুজনের সঙ্গে দারুণ ভাব আয়রার। মেয়ে, কেরিয়ার আর সংসার সবটা নিজের মতো করে আগলাচ্ছেন মিথিলা। আগামিতে অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।