মনোজ কুমারের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। তাঁকে ত্রিরঙ্গা পতাকা মোড়ানো অবস্থায় শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা দেখে আপনিও আপনার চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না।
হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার আর নেই। ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন। মনোজের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবার ও কাছের মানুষজন। কিংবদন্তিকে শেষবারের জন্য দেখতে শনিবার (৫ এপ্রিল) তাঁর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা তাঁর বাসভবনে উপস্থিত হন। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে একটি ভিডিও উঠে এসেছে, যা দেখে অনেকেই হয়তবা চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না। এই ভিডিওতে মনোজ কুমারকে শায়িত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী শশী কুমার।
মনোজ কুমারের স্ত্রী শশী গোস্বামীর যে ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর স্বামীকে বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মনোজ কুমারকে শায়িত দেখে প্রথমে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শশীকে এভাবে কাঁদতে দেখে উপস্থিত অনেকের চোখেই জল আসে। মনোজের ছেলে কুণাল গোস্বামীকেও হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে দেখা যায় এবং শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের রীতিনীতি পালন করতে দেখা যায়।
শনিবার রাষ্ট্রীয় সম্মানে মনোজ কুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁকে ত্রিরঙ্গা পতাকা মোড়ানো অবস্থায় শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার মৃতদেহ ফুল ও মালায় সজ্জিত করে অ্যাম্বুলেন্সে করে জুহুর শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। মনোজ কুমারের শেষযাত্রার বেশকিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘সেভেন সিস্টার দখল করতে চান যে দেশের…’মোদী-ইউনুস বৈঠকে কটাক্ষের সুরে কী লিখলেন তসলিমা?
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোজ কুমারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর দুটি ছবি শেয়ার করে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অধুনা পাকিস্তানের অন্তর্গত খাইবার পাখতুনখাওয়া যা আগে অ্যাবোটাবাদ নামে পরিচিত ছিল সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন মনোজ কুমার। তাঁর আসল নাম ছিল হরিকৃষ্ণন গোস্বামী। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি ফ্যাশন ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন। এরপর ১৯৬১ সালের ছবি কাচ কি গুড়িয়া ছবির হাত ধরে জনপ্রিয়তা পান। সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বড় ব্রেক। এরপর আর তাঁকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।