বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নব্বইয়ের দশকে বলিউডে ঝড় তোলা নায়িকা মমতা কুলকার্নি। শাহরুখ, সলমন, অক্ষয়দের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর রূপের ছটায় আলোকিত হত সিলভার স্ক্রিন। একটা সময় বলিউডের সেক্স সিম্বল হয়ে উঠেছিলেন মমতা। কিন্তু নতুন শতাব্দীর শুরুতে আচমকাই গায়েব হয়ে যান তিনি। আরও পড়ুন-এবার কার্তিকের শিক্ষক শাহরুখ! ভুলভুলাইয়া ৩-র নায়ককে কী টিপস দিলেন কিং খান?
বলিউডে বাধ্য হয়েই যোগ দিয়েছিলেন মমতা, এবং গ্ল্যামার জগতকে বিদায় জানানোর কোনও আফসোস নেই তাঁর, আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন নায়িকা। ২০১৬ সালে Abplive.com সঙ্গে কথা বলার সময় মমতা বলেছিলেন যে তাঁর মায়ের কারণেই তিনি চলচ্চিত্র জগতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে পদত্যাগ করার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন।
মমতা কুলকার্নি ও বলিউড
মমতা বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের প্রভাবে এবং চাপে আমি চলচ্চিত্রে যোগ দিয়েছিলাম এবং অভিনয়ক পেশা হিসাবে বেছেছিলাম। আমি স্বেচ্ছায় অভিনেত্রী হইনি এবং চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে যাওয়ার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই।’ যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি এখনও হিন্দি সিনেমা দেখেন কিনা, তিনি তখন বলেছিলেন যে ‘আমার দেখা শেষ সিনেমা ছিল মুন্না ভাই’।
মমতা এখন মমতা নন্দ গিরি
মমতা তাঁর পার্থিব জীবন ত্যাগ করে এবং মাই মমতা নন্দ গিরি পরিচয় গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক জীবন শুরু করলেন। শুক্রবার পরাগরাজে নিজের পিণ্ডদান করেন মমতা কুলকার্নি। এক বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, চলতি মহাকুম্ভে তিনি প্রথমে কিন্নর আখড়ায় 'সন্ন্যাস' নিয়েছিলেন এবং তারপরে একই আখড়ায় তাঁর নতুন নাম 'মাই মমতা নন্দ গিরি' রাখা হয়েছিল। ‘পিণ্ড দান’-এর পরে, কিন্নর আখড়া তার পট্টভিষেক (অভিষেক অনুষ্ঠান) করে।
৫২ বছর বয়সী মমতা শুক্রবার মহা কুম্ভের কিন্নর আখড়ায় পৌঁছেছিলেন, যেখানে তিনি কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর সাথে দেখা করে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরীর সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তিনি সঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিয়েছিলেন এবং তাকে একজন 'সাধভি'র পোশাকে দেখা গিয়েছিল। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে তিলক- একদম অচেনা বেশে মমতা।
১৯৯১ সালে 'মেরা দিল তেরে লিয়ে' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন মমতা। তিনি ওয়াক্ত হামারা হ্যায় এবং আশিক আওয়ারা (১৯৯৩), ক্রান্তিবীর (১৯৯৪), করণ অর্জুন (১৯৯৫), সবসে বড়া খিলাড়ি (১৯৯৫), আন্দোলন (১৯৯৫), বাজি (১৯৯৬), চায়না গেট (১৯৯৮) এবং ছুপা রুস্তম: একটি মিউজিক্যাল থ্রিলার (২০০১) এর মতো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ২০০২ সালে 'কাভি তুম কভি হাম' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি বলিউডকে বিদায় জানান।