মায়ের হাতের রান্নায় জমে যেত জন্মদিন। বাড়ির ছোট মেয়ে বলে কথা, জন্মদিন মানেই মহাধুম। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন সবসময়ই স্পেশ্যাল, কে জানতো বিয়ের পরপরই এমন একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে ‘ফুলকি’ অভিনেত্রীকে। আরও পড়ুন-ক্যানসার আক্রান্ত বাবা! বিয়ের মাস ঘুরতেই মৃত্যু মায়ের,ফুলকি থেকে সাময়িক বিরতি কৌশাম্বির
গত মে মাসে বিয়ের পর্ব সারেন আদৃত-কৌশাম্বি। তাঁদের চর্চিত প্রেমকাহিনি পায় কাঙ্খিত পরিণতি। সবে সংসার পেতেছিলেন, এর মধ্যেই মাতৃহারা হন আদৃত জায়া। গত ২৭শে জুন হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় কৌশাম্বির মায়ের। এরপর কেটেছে দু-সপ্তাহ। মায়ের মৃত্যুযন্ত্রণা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। এর মাঝেই ১৪ই জুলাই তাঁর জন্মদিন।
আজকের দিনে কিছুই ভালো লাগছে না তাঁর। অন্যবারের মতো আজ নতুন জামা পরেননি। অন্য়বছর গত রাত থেকেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায়, এবার সবকিছু ম্যাড়ম্যাড়ে, ধূসর। জন্মদিনে কী করবেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজারকে জানিেছেন, কেক কাটতে আগ্রহী নন। তবে বিকালে এক বৃদ্ধাশ্রমে যাবেন। সেখানের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। কিছু উপহার তুলে দেবেন। ‘এই বছর এইটুকুই…এর বেশি কিছু নয়’, স্পষ্ট করেন আদৃত ঘরণী। আসলে মা-কে ছাড়া প্রথম জন্মদিন কাটানোর কষ্টে কাতর কৌশাম্বি।
সংসার পাতার দেড় মাসের মধ্যে গোটা জীবনটাই এমন ছারখার হয়ে যাবে দুঃস্বপ্নেও আশা করেননি অভিনেত্রী। কঠিন সময়ে কৌশাম্বিকে আগলে রেখেছেন আদৃত। মায়ের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছিলেন কৌশাম্বি। ডুকরে কেঁদে লিখেছিলেন, 'ও মা চলে গেলে আমাদের ছেড়ে? আমি কি করব এবার মা? কে বুঝবে আমায় তোমার মত করে?’
তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আশ্চর্য নীরবতা। একটাও পোস্ট করেননি কৌশাম্বি। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ফ্যানেরা। মায়ের মৃত্যুর পর কৌশাম্বি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার শরীরে ক্যানসার আগেই থাবা বসিয়েছে। মায়ের মতো করে বাবাকে কে আগলে রাখবে সেই দুশ্চিন্তা এখন তাঁর মনে। কৌশাম্বির মা ছিলেন দশভূজা। ঘর-বার সবটা সমালেছেন। সংসার, চাকরি, সন্তান কোনও দায়িত্ব থেকে পিছপা হননি। সদ্য অবসর নিয়েছিলেন। ছিল অনেক স্বপ্ন। সেগুলো অধরাই রয়ে গেল। মা-কে লেখা খোলা চিঠিতে কৌশাম্বি লিখেছিলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে, তোমার আরও একটু যত্নের প্রয়োজন ছিল। যেটা তুমি একেবারেই নাওনি। তা হলে বোধ হয় এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতে না’।