হোলির দৃশ্য, হোলির গান সবসময়ই রূপোলি পর্দাকে রঙিন করে দেয়। তাই দশকের পর দশক ধরে বলিউড পরিচালকদের ছবির অন্যতম ইউএসপি হিসাবে বারবার জায়গা করে নিয়েছে হোলির সিকুয়েন্স। পঞ্চাশের দশক থেকে ২০২০-চিত্রটা খুব বেশি বদলায়নি। আর হোলির পার্টিও সম্পূর্ন বলিউডের এইসব হোলির গান ছাড়া। ‘রঙ বরসে..’ থেকে বলম পিচকারি’- এইসব গানে না নাচলে কী আপনার হোলির সেলিব্রেশন সম্পূর্ন হবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক বলিউডের রূপোলি পর্দায় রঙ ছড়িয়ে দেওয়া সেই সব আইকোনিক গান।বদ্রীনাথ কী দুলহানিয়া (টাইটেল ট্রাক, ২০১৭)জেন ওয়াইয়ের কাছে হোলির গানের মধ্য অন্যতম জনপ্রিয় বরুণ-আলিয়া জুটির বদ্রীনাথ কী দুলহানিয়ার টাইটেল ট্রাক। তানিশক বাগচির কম্পোজ করা গানটি গেয়েছেন দেব নেগি, নেহা কক্কর, মোনালি ঠাকুর এবং ইক্কা। বলম পিচকারি (ইয়ে জবানি হ্যায় দিওয়ানি,২০১৩)হালফিলের হোলির গানের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গান বলম পিকচারি, এমনটা বলাই যায়। আসলে আজকের জেনারেশনের হোলির থিম সংও বলা যেতে পারে রণবীর-দীপিকা জুটির ইয়ে জবানি ইয়ে দিবানির এই গানকে। কারণ হোলির পার্টি মানেই তো প্রেমসাগরে ডুব দিয়ে ‘সিধি সাধি ছোড়ির শরাবি’ হওয়ার পালা। লহু মুঁ লাগ গায়া (গলিও রাসলীলা রামলীলা,২০১৩)পরিণত প্রেমের ছবি ধরা পড়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির রামলীলা ছবির এই গানে। রণবীর-দীপিকার প্রেমের আবেদন এই গানের পরতে পরতে ফুটে উঠেছে, সঙ্গে গুজরাতে মাটির সোঁধা গন্ধ। গুজরাতি কালচারের ঝলক। হোলির প্লে-লিস্টে একটু অন্যরকম আবেদন জোগায় এই গান। ‘ডু মি এ ফেবার’ (ওয়াক্ত,২০০৫)হোলির পার্টি হবে আর সেখানে ‘ডু মি এ ফেবার লেটস প্লে হোলি’ বাজবে না! তাই আবার হয় নাকি। গানের দৃশ্যায়নে প্রেমের সাগরে ডুব দিয়ে, হোলির রঙে রঙিন অক্ষয়-প্রিয়াঙ্কা। ওয়াক্ত ছবির এই গানের অন্যতম ইউএসপি হল এই জুটির কেমিস্ট্রি। হরি খেরে রঘুবীরা (বাগবান, ২০০৩)হোলির সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের কানেকশন বহু পুরোনো-সেই শোলের জমানা থেকে। নতুন শতাব্দীর একদম শুরুর দিকে বাগবান ছবির জন্য নিজের কন্ঠে হরি খেরে রঘুবীরা গানটি গেয়েছিলেন বিগ বি। আদেশ শ্রীবাস্তবের সুরে সাজানো এই গানে অমিতাভের সঙ্গে দিয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক,সুখবিন্দর সিং, উদিত নারায়ণরা। বুড়ো হারেও যে রঙের ভেলকি দেখানো যায় তার জ্বলন্ত উদারহণ অমিতাভ-হেমা। সোনি সোনি আঁখিয়োবালি (মহব্বতে ২০০০)শাহরুখ ভক্তদের হোলির পার্টির প্লে-লিস্টে একদম উপরের দিকে মহব্বতে ছবির সোনি সোনি গানটি। হোলি মানেই যেমন রঙ, তেমন হোলি মানেই প্রেম। আর প্রথম প্রেমের অনুভূতিটাই তো আলাদা। আদিত্য চোপড়া মহব্বতের এই গানে সেই ছবিটাই তুলে ধরেছেন। রং বরসে (সিলসিলা, ১৯৮১)কোনও হোলির সেলিব্রেশন যে গান ছাড়া সম্পূর্ন হতেই পারে না তা হল রং বরসে..। সিলসিলা ছবির এই গান আজও হোলি পার্টিতে অন-ডিম্যান্ড। অমিতাভ-রেখার রসায়ন যশ চোপড়া পরিচালিত ছবির এই গানকে অন্য এক মাত্রা দিয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন অমিতাভ বচ্চনের বাবা, কবি হরিবংশ রাই বচ্চন। হোলি কে দিন দিল (শোলে, ১৯৭৫) হোলি মানেই তো সব ভেদাভেদ ভুলে সব বাঁধন ভেঙে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। সেই ভাবনাই ধরা পরে শোলে ছবির আইকোনিক গান 'হোলি কে দিন দিল'... আজ না ছোড়েঙ্গে..(কটি পতঙ্গ,১৯৭০)কটি পতঙ্গ ছবির আজ না ছোড়েঙ্গে গানটি আজও হোলির গান হিসাবে সামান জনপ্রিয়। রাজেশ খান্না এবং আশা পারেখের উপর পিকচার্ইসড এই গান হোলি পার্টিতে পছন্দের ডান্স নম্বর। আর ডি বর্মনের কম্পোজ করা এই গানটি গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর এবং কিশোর কুমার। চল যা রে হট নটখট (নবরঙ্গ, ১৯৫৯)হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম পুরোনো হোলির গানের মধ্যে একটা নবরঙ্গ ছবির 'যা রে হট নটখট'। এই গানে আশা ভোঁসলে এবং মহেন্দ্র কাপুরের গায়েকি তারফি না করে থাকা যায় না। গানটি কম্পোজ করেছেন সি রামচন্দ্র। ভি শান্তারাম পরিচালিত এই ছবির গানটিতে সন্ধ্যা পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে।