ভাই বোনের ঝগড়া ছিল বরাবরই। অস্মিত এবং আমিশা প্যাটেল প্রায়শই তাঁদের টালমাটাল সম্পর্কের জন্য শিরোনামে এসেছেন । সিদ্ধার্থ কান্ননের সঙ্গে একটি নতুন সাক্ষাত্কারে, অস্মিত আমিশার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি প্রকাশ করেন, যে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি তাঁর বোনের বিপদে কিংবা প্রয়োজনে সবসময় পাশে থাকবেন এটুকু ভরসা আছে। আমিশা নিজের জীবন পুরুষ দ্বারা প্রভাবিত কি না তা জানতে চাওয়া হলে তিনি অকপটে জবাব দেন, ‘অবশ্যই, আমি তাই মনে করি’।
আরও পড়ুন: (শুভ জন্মদিন সোনম কাপুর: রইলো অভিনেত্রীর ‘প্রাসাদের’ অন্দরমহলের ঝলক)
অস্মিতের বক্তব্য
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। প্রত্যেকেরই নিজস্ব বুদ্ধি আছে। প্রত্যেকেরই তাঁদের নিজস্ব স্বাধীন ইচ্ছা আছে। কে কতটা কী শুনবে বা কার দ্বারা প্রভাবিত হবে একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর তাই আমি কাউকে দোষ দিই না। হ্যাঁ, আমি কিছু মানুষের বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভ পোষণ করি হয়তো, বিশেষ করে তাঁরা যেভাবে আমার সঙ্গে আচরণ করেছে তার জন্য। আমি তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কাছ থেকে মিশেছি। নির্দিষ্ট একটি দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের মাথায় কী চলছে সে সম্পর্কে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারত।’
আরও পড়ুন: (Kalki 2898 AD: কল্কি ২৮৯৮ এডি-র ট্রেলার আসছে, নতুন পোস্টারে নজর কাড়লেন দীপিকা)
বলিউডে অসফলতা
অস্মিত একটি বড় চলচ্চিত্র থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা এবং তিনি কীভাবে সব সামলেছিলেন সেই বিষয়েও শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এই সম্পর্কে বেশি কথা বলছি না। তবে এটা বলতে চাই, আমার বাবা-মা একটি ভয়ানক মানসিক অবস্থার মধ্যে ছিলেন এবং তাঁদের উপর আরও চাপ প্রয়োগ করা কখনোই ঠিক হতো না। তাই আমাকে তাঁদের সমর্থন করতে হয়েছিল, তাঁদের পাশে থাকার পাশাপাশি নিজেকে সবটা মোকাবিলা করতে হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, অসময়ে তিনি বিক্রম ভাটের সঙ্গেও দেখা করেননি, যার সঙ্গে তিনি প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে একজন সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। উল্লেখ্য, এই পরিচালক অস্মিতের বোন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে প্রকাশ্যে পাঁচ বছর ডেট করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে ‘১৯২০’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।